ইউ এম এস খাওয়ানোর গবেষণালব্ধ ফলঃ
* বিএলআরআই গবেষণায় দেখা গেছে বাড়ন্ত ষাঁড়কে (৩০০ কেজি) ইউ এম এস যথেচ্ছা পরিমাণ খাওয়ানোর সাথে দৈহিক ওজনের শতকরা ০.০৮০-১.০ ভাগ দানাদার মিশ্রণ সরবরাহ করলে দৈনিক ৭০০-৯০০ গ্রাম দৈহিক ওজন বৃদ্ধি পায় |
* অন্য গবেষণায় দেখা গেছে পাবনা অঞ্চলের গাভীকে শুকনো খরের পরিবর্তে ইউ এম এস খাওয়ালে গাভী প্রতি দৈনিক দানাদার খাদ্য ১.৫ কেজি কম দিয়েও দুধের উৎপাদন প্রায় ১.০ লিটার বৃদ্ধি পায় |
* গবেষণায় দেখা গেছে যে এ পদ্ধতিতে খরের সঙ্গে ১.০০ টাকার মোলাসেস খাইয়ে প্রায় ৫.০০-৭.০০ মূল্যের গরুর মাংস উৎপাদন সম্বভ |
* ইউ এম এস বাছুর, বাড়ন্ত, দুগ্ধবতী ও গর্ভবতী গরু অথবা মহিষকে চাহিদামতো খাওয়ানো যায় |
* সকল বয়সের গরু ও মহিষ যথেচ্ছা পরিমান এই খাদ্য গ্রহণ করতে পারে |
কেন ইউ এম এস খাওয়ালে গরুর দুধ বা ওজন বৃদ্ধি পায়?
* গরু রুমেনের চাহিদা মোতাবেক আস্তে আস্তে খরের সাথে ইউরিয়া থেকে নাইট্রোজেন মোলাসেস থেকে শর্ক্রা সরবরাহ পেয়ে থাকে | শুধু তাই নয়, মোলাসেস একইভাবে খনিজ পদার্থও পশুকে সবরাহ করে |
* উক্ত খাদ্য প্রণালী গরুর রুমেনের পরিবেশ ঠিক রাখে ফলে খড় জাতীয় খাদ্যের পরিপাচ্যতা বৃদ্ধি পায় |
ইউ এম এস প্রযুক্তি ব্যবহারের খাদ্যসূত্রঃ
সূত্র নং ১-ইউ এম এস প্রযুক্তি ব্যবহারে গরু মোটাতাজাকরণে খাদ্য সূত্র
দৈনিক খাদ্যের পরিমাণ = ইউ এম এস (গরুর ইচ্ছামতো) + (দানাদার মিশ্রণ দৈহিক ওজনের শতকরা ০.০৮০-১.০ ভাগ) |
সূত্র নং ২-ইউ এম এস প্রযুক্তি ব্যবহারে দুগ্ধবতী গাভীর খাদ্য সূত্র
দৈনিক খাদ্যের পরিমাণ= ইউ এম এস (গাভীর ইচ্ছামতো) + দুধ উৎপাদনের ভিত্তিতে দানাদার মিশ্রণ |
সূত্র নং ২-ইউ এম এস প্রযুক্তি ব্যবহারে বাছুরের (৬ মাস) খাদ্য সূত্র
দৈনিক খাদ্যের পরিমাণ = ইউ এম এস (বাছুরের ইচ্ছামতো) + দানাদার মিশ্রণ (দৈহিক ওজনের শতকরা ১.০ ভাগ) |
বি দ্রঃ প্রযুক্তিটি সহজ, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ামুক্ত ও লাভজনক এবং একই সাথে গবাদি পশু থেকে পরিবেশ দূষণ হ্রাশ করে |
ইউ এম এস কি সরবুচ্চ ২ কেজি খাওয়াতে হবে নাকি আরও বেশি খাওয়ানো যায়?(আমাদের যুব উন্নয়ন ট্রেইনিং এ স্যার বলছে ২কেজির উপরে খাওয়ানো যাবেনা) কার কথা সত্যি বুজব কেমনে
ইউ এম এস খাওয়ানোর কত সময় পর থেকে পানি খাওয়ানো যাবে ? জানালে উপকৃত হব।