“দুই ঘণ্টার মধ্যে অফিস বন্ধ করে চাবিসহ আমার বাসায় আসবি, না হলে এক এক করে তোর অফিসের সবাইকে খুন করে ফেলবো”-বলে এক সন্ত্রাসি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, খুলনাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেন।
গতকাল ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর ১:২০ মিনিটে ১০-১২ বারো জন লোক এসে প্রথমে অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কক্ষ্যে প্রবেশ করে অত্র অফিসের ‘প্রধান’ কে তা জানতে চায়। ভেটসবিডি এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি তখন মন্ত্রি মহোদয়কে পাঠানোর জন্য একটা জরুরী ড্রাফট তৈরিতে ব্যস্ত ছিলাম, এমন সময় একদল লোক এসে আমার কাছে জানতে চায় যে, এই অফিসের হেড (প্রধান) কে, আমি তাকে বলি যে হেড তো আমাদের ডিএলও স্যার। এসময় সে আমার কাছে জানতে চায়, সে কোথায় বসে, আমি বলি যে স্যার দোতোলায় বসেন। একথা শোনার পর সে তার দলবলসহ উপরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আমাদের অফিসের বড়বাবু এসে আমাকে জানান যে, ডিএলও স্যারকে একদল লোক গালিগালাজ-হ্যানস্থা করছেন। শুনেই আমি দৌড়ে স্যারের কক্ষে যাই, এবং সেখানে আরো কিছু খামারি এবং সাংবাদিকও উপস্থিত ছিলেন। এসময় ঐ লোকটি বলতে থাকে, ‘তোর কোন বাপ আছে নিয়ে আয়, ডিসি-এসপি কে আছে, আসতে বল, আমি কটা জব্বার এখানে বসলাম’। স্যার ওনার কাছে বারবার জানতে চান, ‘আপনার সমস্যাটা বলেন’, কিন্তু সে কিছু না বলে উল্টো স্যারকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে।”

কারো সাথে কিছু দিনের মধ্যে কোন বিষয়ে কড়া বাক্য বিনিময় হয়েছে কি না মর্মে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি কখনো কড়া ভাষা ব্যবহার করি না। আমার অফিসের সবার সাথেই খুব ভালো সম্পর্ক।”
অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, “ওরা আমাদের কার্যালয়ে প্রবেশের সময় প্রধান গেইটে তালা লাগিয়ে দিয়ে আসে, যাতে বাইরে থেকে কেউ ঢুকতে না পারে। লোকগুলো যে গাড়িতে করে চলে যায় সেই গাড়িটির সামনে একটি মহিষের স্কাল (মাথার খুলি) ছিলো।
এ ঘটনায় কেএমপির সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।