গতকাল ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হলো বিভিএ ২০১৮-২০১৯ কমিটির অভিষেক ও সাধারণ সভা।কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে আয়োজিত এ সভায় ছিলো উৎসব মুখর পরিবেশ। মিলনায়তন ছিলো নবিন-প্রবীন ভেটেরিনারিয়ানে পরিপূর্ণ।
সভার শুরুতেই শোক প্রস্তাব আনেন মহাসচিব ড. হাবিব মোল্লা। এরপর সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন পেশ করেন, যেখানে নবনির্বাচিত কমিটির ৫৯ দিনের কার্যক্রম তুরে ধরা হয়। সম্পাদক তাঁর বক্তব্যে বলেন, “১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠালাভের পর সম্ভবত এবারই প্রথম কোন অভিষেক অনুষ্ঠান হচ্ছে। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, আমরা পরিপূর্ণভাবে দায়িত্বভার বুঝে পাইনি। অনেক অনুরোধ করার পর, বিগত কমিটির সভাপতি আকতার স্যার শুধুমাত্র সভাপতির নিকট দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেন।” তিনি আরো বলেন, “বিগত কমিটির রেখে যাওয়া কাগজপত্র খুঁজতে গিয়ে আমরা কোন কিছুই পাইনি, শুধুমাত্র আজ থেকে সাত বছর আগের একটি জমা স্লিপ পেয়েছি।যেহেতু জমা স্লিপটি অনেক আগের তাই আমরা আর ঐ এ্যাকাউন্টটি চালাবো না। আমরা নতুন একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলেছি।” পরে তিনি একাউন্ট নম্বরটি সবাইকে জানিয়ে দেন।এরপর কোষাধ্যক্ষ তাঁর প্রতিবেদনে এই ৫৯ দিনের আয়-ব্যায়ের হিসাব তুলে ধরেন।কোষাধ্যক্ষের প্রতিবেদন পেশ করার পর বিভিএ’র গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটির আহবায়ক ডাঃ ফজলে রাব্বী মন্ডল আতা বিভিএ-র গঠনতন্ত্র সংশোধনের বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন। একটি প্রস্তাব বাদে সবগুলো সংশোধনী প্রস্তাবই সভায় উপস্থিত সদস্যগণের কণ্ঠ ভোটে পাশ হয়। গঠনতন্ত্রের যেসব সংশোধনী প্রস্তাব আনা হয় সেগুলো হলো-
১. গঠনতন্ত্রের লগোতে “বাংলাদেশ ভেটেরিনারি সমিতি” এর পরিবর্তে “বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন” করা
২. কেন্দ্রীয় কার্যগকরী কমিটি ২১ সদস্যের পরিবর্তে ২৭ সদস্য করা, যেখানে একটি মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং দুই জন সদস্যসহ আরো তিনটি পূর্ণ সম্পাদক পদের প্রস্তাব করা হয়।
৩. বাইশটি লেঅকাল চ্যাপ্টারের পরিবর্তে ৮টি ডিভিশনে ৮টি লোকাল চ্যাপ্টার করা
৪. লোকাল চ্যাপ্টারের কমিটি ৯ সদস্যের পরিবর্তে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট করা
৫. ভেটেরিনারি সোশাল ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে এবং এ সঙ্ক্রান্ত একটি ধারা অন্তর্ভূক্ত করা
৬. চলমান কার্য্করি কমিটি দু‘বছর অতিক্রম করার পর যথা সময়ে নির্বাচন না দিলে চীফ ভেটেনিরানি অফিসারের কাছে ক্ষমতা চলে যাওয়া এবং পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয় অন্তর্ভূক্তি
৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ৬নং প্রস্তাবটি নিয়ে সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। সভায় প্রশ্ন তোলা হয় যদি CVO যথা সময়ে নির্বাচন দিতে ব্যার্থ হয় তাহলে কী হবে। বিকল্প প্রস্তাবও আসে, যে বর্তমান নির্বাচন কমিশনই প্রয়োজনে আরেকটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। আলোচনা শেষে মহাসচিব প্রতিটি প্রস্তাব কণ্ঠ ভোটে দিলে ৬নং প্রস্তাবটি পূনর্বিবেচনা করে তা পরবর্তী AGM-এ উথ্থাপনের বিষয়ে সকলে মতামত দেন। যার ফলে এই প্রস্তাবটি বাদে বাকি সবগুলো প্রস্তাবই বিপুল ভোটে পাশ হয়।এছাড়া বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশনের যে জার্নালটি ছিলো তা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। আমাদের পরবর্তী প্রতিবেদনে এ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরো পড়ুনঃ বিভিএ’র নবনির্বাচিত কমিটির বিগত এক মাসের অর্জন
Vetsbd Livestock related only Bangla blog