ব্রুডিং কালে মুরগির ঘরে কাঙ্খিত বা অনুকুল পরিবেশ নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বাজারজাতকরনের বয়সে (market age) মুরগির কাঙ্খিত দৈহিক ওজন প্রাপ্তিতে ইহা ভূমিকা রাখে। শীতকালে মুরগির ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ বা বাতাসের দূষণমুক্ত অবস্থা (Air quality) বজায় রাখা প্রত্যেক মুরগি পালনকারী এবং উৎপাদনকারীর কাছে একটা বড় ইস্যু। শীতকালে মুরগির ঘর উষ্ণ রাখার জন্য ঘরের দরজা,জানালা এবং স্বভাবিক ও অস্বাভাবিক সকল বাতাস প্রবেশ পথ বা ওপেনিং বন্ধ দেয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তাছাড়া বিদ্যুৎ খরচের বিষয়টিও আছে। শীতকালে মুরগির ঘরের পরিবেশ বা Air quality মুরগির পারফরমেন্সের উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। বাতাসের গুণাগুণ বা Air quality বলতে ১) বাতাসে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের উপস্থিতি ২) সর্বনিম্ন পর্যায়ে কার্বনড্রাই অক্সাইড ৩) সর্বনিম্ন মাত্রার কার্বনমনোক্সাইড ও ৪) সর্বনিম্ন মাত্রায় এ্যামোনিয়া উপস্থিতি বুঝায়। স্বাভাবিক বাতাসে এই সকল গ্যাসের উপস্থিতি পরিমান হতে হবে অক্সিজেন-২০.৯%, কার্বনড্রাই অক্সাইড-০.৩১%, কার্বনমনোক্সাইড-০.০% এবং এ্যামোনিয়া-০.০%। এই সময় মুরগির ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করাই হলো মুরগি খামার পরিচালনার সবচেয়ে বড় সফলতা। মুরগির ঘরে অনুকুল তাপমাত্রা বজায় রাখতে ঘরে বায়ু চলাচলের সকল পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। আর ভেন্টিলেশন হলো বায়ু চলাচল ব্যবস্থা। আমরা জানি শীতকালে পরিবেশের তাপমাত্রা মুরগির কাঙ্খিত তাপমাত্রার চেয়ে অনেক কম থাকে। এবং বায়ু সর্বদা পরিবেশের তাপমাত্রা ধারন ও বহন করে বলে শীতকালে মুরগির ঘরের বায়ু চলাচল সীমিত না করলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আবার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ঘরের বায়ু চলাচলের সমস্ত পথ বন্ধ করে দিলে ঘরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর গ্যাস উৎপন্ন হয়ে মুরগির স্বাস্থ্য, উৎপাদন এমনকি স্বাভাবিকভাবে বেচেঁ থাকাকে দুর্বিসহ করে তুলবে এবং মুরগি মারা যেতে পারে। শীতকালে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং বায়ু চলাচল বা ভেন্টিলেশন এ দু’টি বিষয়ের সমন্বয় সাধনই সঠিক উপায়ে মুরগি খামার পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ। গরমকালের চেয়ে শীতকালে ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা maintain খুব জটিল কাজ। গরমকালে ঘরে সবোর্চ্চ বায়ু চলাচল একটি কাঙ্খিত বিষয় এবং মুরগির শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য সরাসরি বাতাসের সংস্পর্শ জরুরী। কিন্তু শীতকালে বাইরে ঠান্ডা বাতাস যাতে মুরগির গায়ে সরাসরি না লাগে সে দিকে খেয়াল রাখতে হয়।
শীতকালে মুরগির ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং ভেন্টিলেশন/বায়ু চলাচল ব্যবস্থা চালু রাখাঃ
মুরগির ঘরে এমোনিয়া গ্যাস উৎপাদন একটি সাধারণ বিষয়। এমোনিয়া গ্যাস তখনই উৎপন্ন হয় যখন লিটারের তাপমাত্রা এবং ময়েশ্চারের মাত্রা অণুজীবের বৃদ্ধির জন্য অনুকুল হয়। এই সব অণুজীব মুরগির পায়খানার (fecal uric acid) ইউরিক এসিডকে ভেংগে এমোনিয়া উৎপন্ন করে। এইভাবে উৎপন্ন এমোনিয়া ট্রাকিয়া জ্বালাতন (irritation), দৈহিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ, খাদ্য রুপান্তর হার কমানো, অন্ধত্ব করা, শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ সহ মুরগি মারা যেতে পারে। অন্যান্য সকল প্রাণির শেডের মতো মুরগির ঘরে/শেডে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। যা কখনো কখনো খামার পরিচালনার সাথে জড়িতদের এবং খামার সংলগ্ন প্রতিবেশিদের বিরক্তির কারন হয়ে দাড়ায়। এটা একবারে দুর করা অসম্ভব ব্যাপার। তবে একজন দক্ষ খামার ব্যবস্থাপক খামারে উৎপন্ন দুগন্ধের তীব্রতা কমিয়ে রাখতে পারেন। গন্ধ যাতে উৎপন্ন না হতে পারে সেজন্য আমরা খামারে exhaust fan ব্যবহার বা খামার খোলামেলা রাখি। এটা মনে রাখতে হবে দুর্গন্ধের তীব্রতা কমিয়ে রাখতে প্রথম এবং প্রধান পদক্ষেপ হলো খামার ব্যবস্থাপনা। মুরগির ঘরে দুর্গন্ধের তীব্রতা কমিয়ে রাখতে অন্যতম প্রধান উপায় হলো যথাযথ ভেন্টিলেশন ব্যবস্থাপনা। ভেন্টিলেশন ভালো হলে লিটার দ্রুত শুকাবে এবং গন্ধ কম হবে। ভেজা লিটার বা শেডের আর্দ্র ভেজা ভেজা অবস্থা শুধূ দুর্গন্ধই উৎপন্ন করে না মুরগির পারফরমেন্সের জন্য ও ক্ষতিকর। সুতরাং কার্যকর ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা শুধু মুরগির ঘরের দুর্গন্ধই দুর করে না মুরগির উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধি করে।
শীতকালে মুরগি পালনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মুরগির ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ। পরিবেশের তাপমাত্রা এবং মুরগির ঘরে উৎপন্ন আর্দ্রতা এ সময়ে মুরগির ঘরে তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। মুরগি অনবরত বাতাসে আর্দ্রতা যোগ করে অর্থাৎ লিটারের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করে। এটা নিয়ন্ত্রন করতে মুরগির ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। যদি বাতাস চলাচলের হার খুব কম হয় সেড়্গেত্রে লিটার এবং ঘরের পরিবেশ ভেজা ভেজা হবে এবং এর ফলে এমোনিয়া গ্যাস উৎপাদনের পরিমোন বেড়ে যাবে। একটা ব্রয়লার মুরগি প্রায় ২০ ভাগ পানি শরীরে সঞ্চিত করে এবং ৮০ ভাগ পানি মুরগির লিটার ভালো রাখতে ঘর থেকে বের করা দরকার হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় মুরগি যতটুকু খাদ্য খায় তার দ্বিগুন পানি গ্রহন করে। জীবনের প্রথম ১৪ দিন পর পানি গ্রহনের পরিমান ৭ গুণ বেড়ে যায়। এ অবস্থার আলোকে মুরগির ঘরের আর্দ্রতা নিয়নত্রণে নুন্যতম ভেন্টিলেশনের মাত্রা ৭ গুণ হারে বাড়াতে হবে।
মুরগির ঘরে উৎপন্ন সাধারণ গ্যাসের সহনশীল ও ক্ষতিকর মাত্রাঃ
গ্যাসের নাম | ক্ষতিকর মাত্রা | সহনশীল মাত্রা |
কার্বনড্রাই অক্সাইড | ৩০ % এর উপরে | ১% এর নিচে |
মিথেন | ৫ % এর উপরে | ১% এর নিচে |
এমোনিয়া | ৫০০ পিপিএম এর উপরে | ৪০ পিপিএম এর নিচে |
হাইড্রোজেন সালফাইড | ৫০০ পিপিএম এর উপরে | ৪০ পিপিএম এর নিচে |
অক্সিজেন | ৬ % এর নিচে | ১৬ % এর উপরে |
ভেন্টিলেশনের মাত্রা বা হারঃ
ভেন্টিলেশনের হার বলতে আমরা বায়ু চলাচলের বিষয়কে বুঝে থাকি। তাপমাত্রা (sensible heat/dry heat) উৎপাদন এবং অপসারনের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা এবং ময়েশ্চার (moisture) বা আর্দ্রতা তৈরি এবং অপসৃত হওয়ার ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থাকে বুঝানো হয়। মুরগির দৈহিক তাপমাত্রা, বৈদ্যুতিক মোটর, আলো ইত্যাদি যান্ত্রিক তাপমাত্রা উৎপাদন, ব্রুডার, হিটার, সোলার হিট ইত্যাদি হতে উৎপন্ন তাপ হলো sensible heat gain আর sensible heat loss হলো ভেন্টিলেশন এবং ঘরের দরজা,জানালার মাধ্যমে তাপ অপসারন। আবার ময়েশ্চার বা আর্দ্রতা উৎপাদনের উৎস হলো মুরগির শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রিয়া ও বজ্য থেকে পানি বাষ্পায়ন এবং শেডে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত পানি(মুরগিকে সরবরাহকৃত পানি,বিভিন্ন সরঞ্জামাদি, শেড ধৌতকরনের জন্য ব্যবহৃত পানি) বাষ্পায়ন এর মাধ্যমে উৎপন্ন আর্দ্রতা যা অপসারন হয় ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে। আমাদের দেশে মুরগি পালনের জন্য যে ধরনের ঘর তৈরি করা হয় সে বিবেচনায় ভেন্টিলেশনের হার নির্ণয়ের জন্য ইন্ডিকেটর বা পরিমাপক থাকে না। খামারীরা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যবস্থা নেন। ঘরে দুর্গন্ধ তৈরি হলে ঘরের পর্দা উঠিয়ে বা জানালা খুলে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করে ভেন্টিলেশনের মাত্রা ঠিক করেন। এ দেশের প্রায় ৬০-৭০ ভাগ খামারে ভেন্টিলেশনের জন্য কোন ফ্যানের ব্যবস্থা দেখা যায় না।
ভেন্টিলেশনের উদ্দেশ্যঃ
ভেন্টিলেশন হলো মুরগির ঘরে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা যার ফলে মুরগির ঘরে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ বাতাস প্রবেশ করবে এবং দুষিত বাতাস,ক্ষতিকর গ্যসসমুহ অপসারিত হবে।বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস যেমন এমোনিয়া মুরগির শ্বাসতন্ত্রে সমস্যা তৈরি করে, মিথেন, বিষাক্ত হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস, কার্বন-ড্রাই অক্সাইড গ্যাস যা অক্সিজেন স্বল্পতা সৃষ্টি করে মুরগির ঘরে জমা হয়। এই সব ক্ষতিকর গ্যাস এবং অন্যান্য গ্যাস ও ধুলা ময়লা অপসারন করে মুরগির জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করার জন্য কার্যকর ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা খুব জরুরী। এছাড়া মুরগির শেডের সর্বত্র পর্যাপ্ত পরিমান বিশুদ্ধ ও ফ্রেশ বাতাস সরবরাহ করা। গরমকালে মুরগির ঘরে মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে কাঙ্খিত সীমার মধ্যে রাখা এবং শীতকালে মুরগির ঘরের আর্দ্রতা ও পরিবেশ মুরগি অনুকুলে রাখা এবং এমোনিয়া গ্যাসের পরিমান নির্ধারিত বা সহনশীল মাত্রার মধ্যে রেখে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করা নিশ্চিত করা। শীতকালে বাইরের তাপমাত্রা কম থাকে তাই ঠান্ডা বাতাস যাতে ঘরে প্রবেশ করতে না পারে এ জন্য যত রকম ব্যবস্থা গ্রহন করা দরকার আমরা তা করি। কিন্তু অনেক সময় ভুলে যাই ঘরের দুষিত বাতাস বের করে দেয়ার জন্য ব্যবস্থা করা বা থাকা দরকার।
ভেন্টিলেশন পদ্ধতিঃ
ভন্টিলেশন ব্যবস্থা ন্যাচারাল(বিদ্যমান), যান্ত্রিক বা উভয়ের সমন্বিত ব্যবস্থা হতে পারে। ন্যাচারাল ভেন্টিলেশন বাতাস ঘরে বিদ্যমান দরজা,জানালার মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। এটা সহজ এবং খরচ কম হয়। যান্ত্রিক বা মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে বাবাস চলাচল বা air movement হয় ফ্যান, পরিবেশ নিয়ন্ত্রেণের মাধ্যমে। ভেন্টিলেশন হলে মুরগির ঘরে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা। ভেন্টিলেশনর পদ্ধতি কি এবং কত প্রকার এ বিষয়ে খামারীদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ভেন্টিলেশন পদ্ধতি বলতে ঘরের দরজা -জানালা থাকবে এ পর্যন্তই জানা। ব্রিডার্স খামার ছাড়া আমাদের দেশে ৯০ ভাগ মুরগির খামার খোলামেলা প্রকৃতির। এখনো খামারের কোন শেডে ফ্যান ব্যবহারের ধারনা বা ব্যবহার খুবি সীমিত পর্যায়ে। শীতকালে ব্রুডিং এবং মুরগির ঘরে অনুকুল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পর্দা ব্যবহার করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা কেমন হবে তা অনেকাংশেই খামারে মুরগির ঘরের ধরনের উপর নির্ভর করে। বিল্ডিং হলে জানালা, সিলিং ফ্যান, এবং অবশ্যই exhaust fan থাকতে হবে।মুরগির ঘরে ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা set-up করার সময় যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা দরকার তাহলোঃ-
(১) গরম আবহাওয়া উপযোগী ব্যবস্থাঃ গরমকালীন সময়ে মুরগির ঘরে বেশি পরিমানে বায়ু চলাচলের দরকার হয়। এজন্য ঘর খোলামেলা বা পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের জন্য দরজা জানালা থাকতে হবে
(২) ঠান্ডাকালীন আবহাওয়ার সময়ঃ শীতকালীন সময়ে গরমকালের চেয়ে ভেন্টিলেশন বা বায়ু চলাচল কম দরকার হয়। তবে বায়ু চলাচল খুবই গুরুত্বপূর্ণ
(৩) আর্দ্রতাঃ বিশেষ ঠান্ডাজনিত আবহাওয়ার কারনে অতিরিক্ত ময়েশ্চার দুরীভূত করাও অতিরিক্ত তাপমাত্রা প্রশমনের জন্য যে মাত্রায় বায়ু চলাচলের দরকার তার চেয়ে বেশি মাত্রায় বায়ু চলাচলের দরকার। যদি আর্দ্রতা মাত্রাতিরিক্ত হয় তবে শীতকলে অতিরিক্ত ভেন্টিলেশন দরকার হবে এবং এ সময় ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য সম্পুরক তাপমাত্রা দরকার হবে
(৪)দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণঃ মুরগির ঘরে বিভিন্ন কারনে দুর্গন্ধ উৎপন্ন হয় যা মুরগির পারফরমেন্স এবং পরিচালনার সাথে জড়িতদের সমস্যা তৈরি করে। যথাযথ ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে দুর্গন্ধ খামার বা মুরগির শেড হতে দুর করা সম্ভব। ঠান্ডা আবহাওয়ায় বিভিন্ন বয়সের মুরগির ঘরে ভেন্টিলেশন রেট লেয়ারের শেডে ০.৫ ঘনফুট প্রতি মিনিটে প্রতিটি মুরগির জন্য।
ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা না থাকলে মুরগি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় মারা যেতে পারে, বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাসের কারনে বিষক্রিয়ায় মারা যেতে পারে। এটেন্ডেন্ট এর নিরাপত্তা, মুরগির নিরাপত্তা এবং কল্যাণ বিধান এবং ব্যবসার লাভের জন্য খামারীদের উচিত তাদের শেডে বা ঘরে কার্যকর ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা বিদ্যমান রাখা।