মূলত মানুষ ও প্রাণির জলাতংক সমন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যেই বিশ্ব জলাতংক দিবস উদযাপনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সমাজে এরোগের প্রভাব, কিভাবে তা প্রতিরোধ ও নির্মূল করা যায়, তা সমাজের সকল স্তরের মানূষকে জানানোর লক্ষ্যেই এ দিবস উদযাপন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর-২০১৩ তারিখ রোজ শনিবার বাংলাদেশে পালিত হবে বিশ্ব জলাতংক দিবস।
এদিবসের সূচনার পর থেকে অদ্যাবদি বিশ্বের প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষকে এরোগ সমন্ধে সচেতন করা হয়েছে এবং প্রায় ৩ মিলিয়নেরও বেশী প্রাণিকে জলাতংক রোগের টিকা দেয়া হয়েছে।
বিশ্বের প্রতি দশ জনের একজন জলাতংক রোগে মারা যায়, যদিও পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা গেলে মানুষের জলাতংক পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য।
জলাতংকে সবচেয়ে বেশী মারা যায় এশিয়া ও আফ্রিকায়। শিশুরা সবচেয়ে বেশী সংবেদনশীল, কেননা পাগলা কুকুর দ্বারা তারাই বেশী আক্রান্ত হয়। পোষ প্রাণিকে টিকা দিয়ে, শিশুদেরকে এরোগ সমন্ধে সচেতন করে এবং সর্বোপরি পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে এরোগের বিস্তার সহজেই রোধ করা যায়।
২০০৭ সালে উদযাপিত প্রথম বিশ্ব জলাতংক দিবসে বিশ্বের ৭৪ টি দেশের প্রায় ৪০ মিলিয়ন মানুষ অংশগ্রহন করে, যা এখন বিশ্বের প্রায় ১২৫ টি দেশে উদযাপিত হয়।
আসুন আমরা ভেটেরিনারিয়ান, শিক্ষক, পেশাজীবি সকলে মিলে জনগনকে জলাতংক সমন্ধে সচেতন করি এবং জনগনকে জলাতংকের আতংক থেকে মুক্ত করি। বিশ্ব জলাতংক দিবস-২০১৩ সফল হোক। সকলকে বিশ্ব জলাতংক দিবসের র্যালিতে আমন্ত্রণ (বিএআরসি, ফার্মগেট, শনিবার, সকাল ৯.০০ টা)।
বিশ্ব জলাতংক দিবসের সফলতা কামনা করছি।
“এদিবসের সূচনার পর থেকে অদ্যাবদি বিশ্বের প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষকে এরোগ সমন্ধে সচেতন করা হয়েছে এবং প্রায় ৩ মিলিয়নেরও বেশী প্রাণিকে জলাতংক রোগের টিকা দেয়া হয়েছে।” ভালো একটি সফলতা। এই দিবসগুলো ভেটেরিনারিয়ানরা যত বেশি উদযাপন করবে ততই ভেটেরিনারিয়ানদের প্রতি মানুষের ধারনার ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। বিশ্ব জলাতংক দিবসের সফলতা কামনা করছি। সুন্দর উপস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ।
ভাল হয়েছে
প্রথম লেখা হিসাবে খুব চমৎকার লিখেছেন।

আশা করি আরও লিখবেন এবং আপনার কলিগদেরকেও উৎসাহিত করবেন।