দেশের প্রভাবশালী পত্রিকা “দৈনিক প্রথম আলো” প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আরো একটি দুর্নীতির খবর প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয়, অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত দুই মহাপরিচালকসহ (ডিজি) তিন কর্মকর্তা ২০০৯-১০ অর্থবছরে দরপত্র ছাড়াই এক হাজার ৭৬১ টন অতিরিক্ত গোখাদ্য কিনেছিলেন। এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলাও করেছে বলে দৈনিকটি জানায়।
চাহিদার অতিরিক্ত খাদ্য কিনে তা বিতরন না করে বরং উল্টো আরও ঘাটতি দেখিয়ে মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার ৮৮৮ টাকা আত্মসাৎ করেন। এই অভিযোগে গত সোমবার রাতে তাঁদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযোগে বলা হয়, কর্মকর্তারা চাহিদার অতিরিক্ত ৩১ হাজার ১৫৫ কেজি গোখাদ্য বেশি ক্রয় দেখিয়েছেন। উক্ত মামলার আসামিরা হলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি আশরাফ আলী ও সুনীল চন্দ্র গাইন এবং ঢাকার সাভারে সরকারি পশুখাদ্য কারখানার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ আলী আজমল।
গোখাদ্য মিশ্রণে গমের ভুসি, আস্ত খেসারি, আস্ত ভুট্টা, সয়াবিন মিল ও সাধারণ লবণের সমন্বয় থাকার কথা থাকলেও সয়াবিন মিল ছাড়াই মিশ্রণ প্রস্তুত করে তা সরবরাহ করা হয়। |
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আইলা-দুর্গত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খামারিদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৪০০ মেট্রিক টন দানাদার মিশ্র গোখাদ্য ক্রয়ে তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এর পরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও দরপত্র আহ্বান ছাড়াই ওই অর্থবছরে অতিরিক্ত আরও ১৭ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ কেজি দানাদার গোখাদ্য ক্রয়ে ওই তিন ঠিকাদারের মধ্যে মেসার্স শিখা ট্রেডার্স ও মেসার্স শিখা এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। গোখাদ্য মিশ্রণে গমের ভুসি, আস্ত খেসারি, আস্ত ভুট্টা, সয়াবিন মিল ও সাধারণ লবণের সমন্বয় থাকার কথা থাকলেও সয়াবিন মিল ছাড়াই মিশ্রণ প্রস্তুত করে তা সরবরাহ করা হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, পরের দরপত্রে পাঁচ প্রকারের ১৭ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ কেজি দানাদার গোখাদ্য সরবরাহের কথা বলা হলেও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ আলী আজমল চার প্রকারের ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৬৫৫ কেজি (১৭৬১ দশমিক ৬৬ মেট্রিক ট্রন) খাদ্য ক্রয় দেখান। এভাবে চাহিদার অতিরিক্ত ৩১ হাজার ১৫৫ কেজি গোখাদ্য উপকরণ বেশি ক্রয় দেখিয়ে তা বিতরণ না করে ঘাটতি দেখান।
অভিযোগে বলা হয়, তিন কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজশে আইলা-দুর্গত এলাকায় তিন কোটি ৫০ লাখ ৪২ হাজার ৩২২ টাকার কার্যাদেশ প্রদান করে চাহিদার অতিরিক্ত গোখাদ্য উপকরণ বেশি ক্রয় দেখিয়ে ছয় লাখ ৩০ হাজার ৮৮৮ টাকা আত্মসাৎ করেন।
Shame………
to them…….
৩ জনই কি একই ধারার?
ঐ গোখাদ্যগুলো সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজদের খাইয়ে দেয়া উচিৎ ।
right u r @ mehede
সরকারী খামারগুলি কিভাবে চলে তার একটা নমুনা। বলুনতো এ খামারগুলির (গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস ও মুরগী) আর্থিক পদগুলিতে বেশীর ভাগ (৯৯.৯৯৯৯৯%) কোন গ্রাজুয়েটবৃন্দ পদায়নে থাকেন। এবার বুঝেন ম্যানেজমেন্ট কি জিনিস!!!!!!!!!!!!আমার জানা মতে খামারগুলিতে পদায়নে ছিলেন এমন অনেকের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক প্লট রয়েছে। সরকারী চাকুরী করে কেমনে সম্ভব????????????????
no more comments.
মন্তব্য করলে আবার আমরা খারাপ হয়ে যাই