মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন কলেজ এবং মেডিসিন স্কুলের গবেষকেরা বায়োম্যারিন ফার্মাসিউটিক্যালস-এর সাথে যৌথভাবে শিশুদের দুর্লভ প্রানঘাতী জটিল জীনগত রোগ, ব্যাটেন ডিজিজ, এর চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।ড্যাশহান্ড (Dachshunds) নামের ছোট প্রজাতির কুকুরও শিশুদের মতো ব্যাটেন ডিজিজে আক্রান্ত হয়ে থাকে।এখনো পর্যন্ত এরোগের কোন কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়নি।আশার খবর হচ্ছে মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমন একটি এনজাইমেটিক চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন যা ঐকুকুরে এরোগের লক্ষণগুলিকে তৈরি ও প্রকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে বিলম্ব করে। ঐকুকুরে এচিকিৎসা পদ্ধতি এতটাই আশাব্যাঞ্জক যে, গবেষকেরা মানুষের মধ্যে এপদ্ধতির ট্রায়াল দেয়ার কথা ভাবছেন।
ব্যাটেন ডিজিজ মানুষ ও কুকুর উভয়েরই স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রান্ত করে প্রগ্রেসিভ নিউরাল ডিজেনারেশন (progressive neural degeneration) করে থাকে, যার ফলে দৃষ্টিশক্তি চলে যায়, কগনেটিভ (cognative) ও মটর ফাংশান (motor function) কাজ করে না এবং রোগী তার কমিউনিকেটিভ বিহেভিয়ার (communictive behaviour) হারায় এবং পরিনতিতে মৃত্যৃ।
ব্যাটেন ডিজিজের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। গর্ভধারণের শেষ পর্যায়ে যে ধরনের ব্যাটেন ডিজিজ হয়ে থাকে গবেষকেরা সেই ধরনের বিরুদ্ধেই চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।এধরনের ব্যাটেন ডিজিজের লক্ষণ সাধারণত ২ বছর বয়সী বাচ্চার শরীরে প্রকাশ পায়।
স্নায়ুতন্ত্রের কোষগুলির মধ্যে উপস্থিত একধরনের এনজাইমের অনুপস্থিতির ফলেই এরোগ হয়ে থাকে।এই এনজাইম কোষের মধ্যকার প্রোটিন বর্জ্য্ নি:সরণে সহায়তা করে। ফলে কোষগুলি প্রোটিন বর্জ্য্ নি:সরণ করতে পারে না এবং কোষের মধ্যে জমা হতে থাকে। পরিনতিতে কোষ তার কার্যক্ষমতা হারায়।
মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন কলেজ এবং মেডিসিন স্কুলের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মার্টিন ক্যাটজ মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নিয়ে ব্যাটন ডিজিজে আক্রান্ত ড্যাশহান্ড (Dachshunds) কুকুরের উপর কাজ করেন। একটি গ্রুপে তাঁরা বায়োম্যারিন ফার্মাসিউটিক্যালস কর্ত্ক উদ্ভাবিত থেরাপিউটিক প্রোটিন (therapeutic protein) সরাসরি কুকুরের স্পাইনাল ফ্লুইডে (spinal fluid) প্রতি পনের দিন পরপর প্রবেশ করান। যার ফলে আক্রান্ত কুকুরগুলিতে আকাংখিত এনজাইমের ঘাটতি পূরণ হয়।কন্ট্রোল গ্রুপের কুকুরগুলিতে কোন চিকিৎসা দেয়া হয়নি।ফলে ঐকুকুরগুলি ব্যাটন ডিজিজে আক্রান্ত হয় এবং ১০-১১ মাস বয়সে মারা যায়।অন্যদিকে ট্রিটমেন্ট গ্রুপের কুকুরগুলিতে লক্ষণ প্রকাশকাল এবং কুকুরগুলির আয়ুষ্কাল উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
তাঁদের এ উদ্ভাবনকে মানুষের এ জটিল রোগের জন্য এক যুগা্ন্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করেন ড. ক্যাটজ।তিনি আরও জানান, আমরা বিশ্বাস করি এধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি মানুষের ক্ষেত্রেও কার্যকরী।এখনো পর্যন্ত বলা যায়, এ চিকিৎসা পদ্ধতি এরোগকে পুরোপুরি সারাতে না পারলেও রোগীর আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি এবং জীবনমান উন্নয়ন করবে।
আশার কথা হলো কুকুরে এ চিকিৎসা পদ্ধতির সূত্র ধরে বায়োম্যারিন ফার্মাসিউটিক্যালস এবছরই মানুষের উপর পরীক্ষা চালাবে।
সূত্র: DVM NEWSMAGAZINE, March 1, 2013
দারুন এই সুখবরটি দেয়ার জন্য মইনকে অসংখ্য ধন্যবাদ… ফেইসবুকের লাইক সংখ্যাই বলে দিচ্ছে, আর্টিকেলটি কতটা ভালো হয়েছে।
দারুন এই সুখবরটি দেয়ার জন্য মইনকে অসংখ্য ধন্যবাদ… Feeling proud as a vet now