সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি পশ্চিম পাড়ায় আবারো অ্যানথ্রাক্স সংক্রমন দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত ৫ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন-বাঘাবাড়ি পশ্চিম পাড়ার সোনাই (২২), লিটন হোসেন (১৯), রহিমা খাতুন (৩০), রফিকুল ইসলাম (২৮) ও নয়ন (৫)।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল সবরিন ও উপজেলা প্রাণী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই রোববার দুপুরে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় তারা অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস বেচা-কেনা এবং সংস্পর্শে না যাওয়ার জন্য স্থানীয় লোকজনের প্রতি আহ্বান জানান। কেউ অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ারও পরামর্শ দেন তারা।
শাহজাদপুর হাসপাতালের আবাসিক ডা. কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, শুক্রবার মাঠকর্মীরা বাঘাবাড়ি পশ্চিমপাড়ায় সেকান প্রামানিকের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলে সোনাই প্রামানিকের হাতে ঘা দেখে তাদের প্রাথমিক ভাবে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত বলে সনাক্ত করে। পরে আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ির পাশে আরো একই ধরনের একজনের হাতে ঘা দেখতে পেয়ে মাঠকর্মীরা তাদের শাহজাদপুর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আক্রান্তদের হাতের ঘা দেখে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করা হওয়া গেছে তারা অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত।
বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার বাঘাবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের একটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়লে গরুটিকে জবাই করা হয়। এই গরুর মাংস কাটা ও ধোয়ার পর উল্লেখিত ব্যক্তিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোসকার মতো দেখা দেয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় পোতাজিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. তোফাজ্জল হোসেন জানান, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান,শনিবার তারা বিষয়টি অবগত হওয়ার পরই আক্রান্ত গরুর মাংসের নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রাণীসম্পদ গবেষনাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর জেলায় ৬৯ জন নারী, পুরুষ ও শিশু অনথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বরে প্রধানত বর্ষা মৌসুমে এই রোগ দেখা দেয়। কিন্তু এ বছর মার্চ মাসেই এই রোগ দেখা দেওয়ায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।