আমরা দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে চলমান বিভিন্ন কর্মসূচীর পাশাপাশি কিছু সময়োপযোগী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছি। গেল শীতে আমরা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে যেসব কর্মসূচী পালন করেছিলাম তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- খামারে খামারে বায়োসিকিউরিটি জোরদার করণের লক্ষ্যে বিভিন্ন রকম প্রচারণা চালানো, যার মধ্যে ছিল উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে বিশেষ ব্যানার টানানো, খামারিদের নিয়ে জনসচেতনতামূলক সভা, সুষ্ঠু খামার ব্যবস্থাপনা ও বায়োসিকিউরিটি রক্ষার বিভিন্ন কলা-কৌশল সমৃদ্ধ প্রামান্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শন ইত্যাদি। এসব কর্মসূচী খামারিদের মাঝে ব্যপক সাড়া তৈরি করেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আমাকে জানান, এ ধরনের ব্যাপক প্রচারণা এবারই তারা প্রথমবারের মতো দেখছে, এবং তারা আমাকে নিশ্চিত করে বলেন যে, ভিডিও প্রামান্য চিত্রে যেসব দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তারা তা যথাসাধ্য অনুসরণ করার চেষ্টা করবে। এরপর আমি ব্যাক্তিগতভাবে বিভিন্ন খামার পরিদর্শনে গিয়ে দেখি তাদের অনেকেই যাদের আগে হয়তো ফুট-বাথ ছিল না কিন্তু এখন তারা সেটি তৈরি করেছেন; খামারের চারদিকে সুরক্ষা বেষ্টনি ছিল না, জীবানুনাশক নিয়মিত স্প্রে করতেন না, খামারের জন্য অনেকেরই আলাদা জুতা পর্যন্ত ছিল না। আমাদের এসব কার্যক্রম চালানোর পর তাদের অনেকেরই নতুন করে বেড়া দিযেছেন, নিয়মিত স্প্রে করছেন, আলাদা জুতা ব্যবহার করছেন। এখানে আমি বিশেষভাবে এভিয়ান ইনফ্লয়েঞ্জা প্রিপেয়ার্ডনেসেএন্ড রেসপন্স প্রজেক্ট এর প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, কেননা তাঁরা অত্যন্ত পরিশ্রম করে এসব ভিডিও প্রামান্য চিত্র তৈরি করেছেন। তবে এ কথাও সত্যি যে এখনও আমাদের আরো অনেক কাজ বাকি, এখনও অনেক খামারিদের মাঝে পরিবর্তন আসেনি। আমরা খামারিদের মাঝে সু-অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আমরা দৃঢ়ভাবে আশা করি সমাজের সবাইকে নিয়ে আমরা আমাদের কাঙখিত লক্ষ্যে একদিন ঠিক পৌছে যেতে পারব।
এছাড়াও আমরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দেয়ার জন্য প্রাণিসম্পদ সেবা ক্যাম্প পরিচালনা করেছি এবং এখন প্রায় প্রতি সপ্তাহেই করে যাচ্ছি। নিচে এসব কর্মকান্ডের কিছু চিত্র তুলে ধরছি-




