
আসছে গ্রীষ্মকাল, আর এ সময়ে মুরগির যে সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হলো ডিমের খোসা পাতলা হওয়া। পুরো গরমকাল জুড়েই এ সমস্যাটিতে কেখনো ভোগেননি এমন খামারি খুবই কম। তাই আসুন জেনে নিই অতিরিক্ত গরম থেকে heat stress হলে মুরগির উপর তার প্রভাব কিরকম হতে পারে।
খোসার মান খারাপ হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো পরিবেশেরে উষ্ণতা যার কারণে খাদ্য গ্রহণের পরিমান কমে যায়। যখন আবহাওয়ার তাপমাত্রা বেড়ে যায় তখন মুরগি panting করার মাধ্যমে নিজেকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করে। এতে রক্তে CO2 এর মাত্রা কমে যায় যাকে বলে “respiratory alkalosis”। রক্তের pH বেড়ে গিয়ে রক্ত ক্ষারিয় হয়ে যায় এবং খোসার জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়ামের পরিমান কমে যায়। এই acid-base balance এর সমন্বয়হীনতার অভাবে গ্রীষ্মকালে নরম খোসার ডিম তৈরি হয়।
সাধারণত তাপমাত্রা ২৫০ সে. এর বেশি হলেই মুরগি খাদ্য গ্রহণের পরিমান কমিয়ে দেয় এবং এর ফলে অস্থায়ীভাবে খোসা পাতলা হওয়ার যে প্রবণতা দেখা দেয় তা পরিবেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলেই আবার খাদ্য গহণ স্বাভাবিক হওয়ার মাধ্যমে ঠিক হয়ে যায়।
Respiratory alkalosis হওয়ার ফলে কিডনী দিয়ে কার্বোনেট আয়ন বেরিয়ে যাওয়ার পরিমান বেড়ে যায়। এতে কিডনী আর জরায়ুর মধ্যে কার্বোনেট আয়নের জন্য প্রতিযোগীতা বেড়ে যায় ফলে অব্যহতভাবে ডিমের খোসা পাতলা হতে থাকে। heat stress চলাকালে খাদ্য গ্রহণ কমে যায় বলে ক্যালসিয়াম গ্রহণও কমে যায় এবং এটা bone resorption-কে stimulate দেয়, ফলে hyperphosphatemia দেখা দেয়। এতে shell gland-এ ক্যালসিয়াম কার্বোনেট তৈরিতে বাধা পড়ে। Heat stress জরায়ুতে carbonic anhydrase (Zinc dependent enzyme) এর কারর্যকারিতাও কমিয়ে দেয়। এদিকে heat stress এর সময় প্রচুর পরিমান রক্ত দেহের peripheral tissue-গুলির দিকে ধাবিত হয় ফলে জরায়ুতে বিশেষতঃ oviduct-এ রক্তের পরিমান কমে যায় বলে খোসার মান খারাপ হতে থাকে। সবশেষে লেয়ার মুরগি vitamin D3–কে এর কার্যকরি অবস্থায় রুপান্তরের ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে। আর এর ফল কি তা না হয় নাইবা বললাম। সবাই ভালো থাকবেন।
সূত্রঃ http://www.thepoultrysite.com