এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রনে গত পাঁচ বৎসরে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে গৃহিত সকল কার্যক্রম যখন কোন কাজে আসছিল না, বরং এটা দিন দিন আরও নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছিল, তখন দাবি উঠে পোল্ট্রিতে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন প্রদানের। এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং এই ভাইরাস মানবদেহে ছড়ানো নিয়ে সারা বিশ্বের গবেষকদের মাঝে বিতর্ক চলে আসছে। উন্নত বিশ্ব চায় ভ্যাকসিন ছাড়াই এই রোগ নিয়ন্ত্রন। কিন্তু আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে উন্নত বিশ্বের মতো আধুনিক কায়দায় খামার গড়ে উঠেনি এবং তাদের মতো বড় আকারের খামারও নাই। তাই আমাদের দেশে তাদের মতো চিন্তা করলে হবে না। আর এ কারনেই এশিয়ার অনেক দেশ যেমন ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভারত সকলেই বায়োসিকুরিটি মেনে চলার পাশাপাশি ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে আসছেন। ফলে সেই সকল দেশে এই রোগটি পুরোপুরি নির্মূল না হলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রনে আছে। ব্যাপক প্রাণহানির ভয়ে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এর বিপক্ষে অবস্থান গ্রহন করেছিল। বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্ব প্রাণি স্বাস্থ্য সংস্থা বার বার ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিরোধীতা করে আসছিলেন। আমাদের দেশেও বিজ্ঞানীরা দ্বিধা বিভক্ত ছিলেন। আশার কথা হলো আমাদের দেশে গত ৫ বৎসরে একজন মানুষ ও মারা যায়নি। এই ভ্যাকসিন নিয়ে আমার বেশ কয়েকটি লেখায় ইতিমধ্যে বলেছি। লোকাল আইসোলেট থেকে ভ্যাকসিন তৈরী করে প্রয়োগ ও একই সাথে বায়োসিকুরিটির সকল পন্থা অবলম্বন করতে হবে। অবশেষে বহু আলোচনা ও পর্যালোচনার পর সরকার ভ্যাকসিন প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। এই ভ্যাকসিন কার্যক্রম কিভাবে করা হবে সেই জন্য সাত সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির প্রধান হলেন পরিচালক, প্রশাসন ও প্রাণি স্বাস্থ্য, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং সদস্য সচিব ড. গিয়াস উদ্দিন, ল্যাব ইনচার্জ, বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষনা ইন্সটিটিউট। এই কমিটি বিভিন্ন দেশের ভ্যাকসিন যাচাই বাছাই সাপেক্ষে ৩ টি বিদেশী কোম্পানির ভ্যাকসিন নির্বাচিত করেন। এই গুলি হলো-
১. মেরিয়াল (এইচ৫এন১)
২. ইন্টারভেট ( এইচ৫এন২) ও
৩. বায়োমিউন এর ভেকটর ভাইরাস ভ্যাকসিন।
এগুলোর মধ্যে প্রথম ২টি কিল্ড ভ্যাকসিন যা যে কোন বয়সের মুরগিতে দেয়া যায়। ৩য়টি হলো ম্যারেক্সের এইচভিটি স্ট্রেইনের সাথে বিশেষ ভাবে তৈরী যা হ্যাচারীতে একদিন বয়সী বাচ্চায় দেয়ার জন্য। প্রাথমিকভাবে ২ টি হ্যাচারী ও ৪ টি বানিজ্যক খামারে পরিক্ষামূলক প্রয়োগের চিন্তা থাকলেও কোন এক অজ্ঞাত কারনে পুরু গাজীপুর জেলা ও কিশোর গঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় সকল মুরগিতে দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। আমার ও বেশ কিছু বিজ্ঞানীর দাবী অনুযায়ী লোকাল আইসোলেট থেকে তৈরী ভ্যাকসিন না হলেও নিধেন পক্ষে সরকার ভ্যাকসিন করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রমান করেছেন ভ্যাকসিনের দাবি যৌক্তিক ছিল। এই জন্য বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এই ভ্যাকসিন গুলোর মধ্যে যে ভ্যাকসিনটি অধিক কার্যকরী হবে সেটিকেই পরবর্তিতে সমগ্র দেশের জন্য উন্মূক্ত করা হবে।
এবার ভ্যাকসিন গুলোর কার্যকারিতা কেমন হবে সেই বিষয়ে কিছু আলোকপাত করা যাক-
১। নবিলিস এইচ৫ এন২ কিল্ড ভ্যাকসিন, ইন্টারভেট, বাংলাদেশে সোল এজেন্ট বেঙ্গল ওভারসিজ : এটি আমাদের দেশের বিদ্যমান স্ট্রেইনের সাথে কোন মিল নেই। কেবল মাত্র এইচ৫ এর সাথে মিল থাকায় এটি কতটুকু কার্যকর হবে তা কেবল দেশীয় জীবানু দিয়ে চ্যালেঞ্জ দিলে বলা যাবে।
২। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা এইচ৫ এন১। ক্লেড ২.২.১ এর কিল্ড ভ্যাকসিন, চায়না স্ট্রেইন, মেরিয়াল কর্তৃক তৈরী । বাংলাদেশে বাজারজাত করবেন এডভান্স এনিম্যাল সাইন্স কোম্পানি লিমিটেড। এই ভ্যাকসিনটি যদিও আমাদের দেশের প্রাপ্ত স্ট্রেইন এর সাথে মিল আছে কিন্তু ক্লেডের সাথে হুবহু মিল নেই। আমাদের দেশের ক্লেড হলো ২.৩.২.১। কাজেই এই ভ্যাকসিনও কার্যকর হবে নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। দেশীয় জীবানু দিয়ে চ্যালেঞ্জ দিলেই নিশ্চিৎ হওয়া যাবে।
৩। ভেকটর ভাইরাস ভ্যাকসিন/লাইভ: একটি হলো মারেক্স (লায়ো মারেক্স-এইচবিটি) এর সাথে। এই ভ্যাকসিনটি সিবার বায়োমিউন কোম্পানি তৈরী করছে এবং বাংলাদেশে এসিআই বাজারজাত করবে। এই ভ্যাকসিনটি যারা একদিন বয়সী লেয়ার বাচ্চা উৎপাদন করেন তাদের হ্যাচারীতে প্রয়োগ করা হবে। এগুলি এইচ৫এন১। এই ভ্যাকসিনটি এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে কাজ করলেও?? খামারীরা লেয়ার বাচ্চায় মারেক্সের বিরুদ্ধে কার্যকর ফলাফল পাবে না। হ্যাচারী মালিকদের লেয়ার বাচ্চার বেলায় মূল সমস্যা হলো মারেক্স। কারন এই রোগ হলে খামারীরা সরাসরি হ্যাচারীতে ভাল ভ্যাকসিন ব্যবহার না করার অভিযোগ এনে থাকেন। লিকুইড নাইট্রোজেনে সংরক্ষিত ক্রায়ো মারেক্স ভ্যাকসিন (রিসপেন+এইচভিটি) প্রয়োগ ছাড়া এই রোগের বিরুদ্ধে অন্য কোন ভ্যাকসিনে আমাদের দেশে ভাল ফল পাওয়া যায় নাই। আবার অনেকে হ্যাচারীতে একদিন বয়সে এই ভ্যাকসিন দুটি এক সাথে ব্যবহার করার কথা বলেন যা একদিন বয়সী বাচ্চায় মারাতœক ধকল পড়বে যা পরবর্তিতে বাচ্চার সমস্যা হতে পারে। আবার এই ভ্যাকসিনগুলো অবস্যই স্পেসিফিক এন্টিবডি ফ্রি ফ্লকে ব্যবহার করতে হবে। একদিন বয়সী বাচ্চাই হলো এই ভ্যাকসিন গুলো করার জন্য উপযুক্ত। আমরা প্যারেন্টে যদি কিল্ড ভ্যাকসিন করি তাহলে বাচ্চায় এর এন্টিবডি আসবে। সেই ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন করা যাবে কিনা তারও কোন গবেষনা নেই। তাই কিভাবে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও কার্যকর হবে এ ব্যাপারে এখনও কোন পরিস্কার ধারনা দেওয়া হয়নি। আবার হ্যাচারীতে লেয়ার বাচ্চার সাথে সাথে ককরেল ও ব্রয়লার বাচ্চাতেও দেওয়ার কথা বলেছেন। যদিও এই অঞ্চলে দেশী জাতের হাঁস-মুরগিতে দেওয়ার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তাহলে কেন এই ভ্যাকসিন একদিন বয়সী বাচ্চায় দেওয়া হবে, দিলেও ৬ মাস ব্যাপী পরিক্ষা চলাকালিন সময়ে সকল বাচ্চায় করা হবে কেন তার কোন সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম ভ্যাকসিনগুলো কাজ করবে, তাহলে কয়টা ভ্যাকসিন করতে হবে? বলা হচ্ছে ৩ থেকে ৪ বার করতে হবে। কিন্তু এই ভ্যাকসিন গুলো করার পর এইচ আই করে টাইটার নির্নয় করে জানতে হবে ভ্যাকসিন কয়বার দিতে হবে। রানীখেতের মতো নিয়মিত এইচ আই টেস্ট করে ভ্যাকসিন লাগবে কি লাগবে না দেখতে হবে। কিন্তু এতে অনেক খরচ হবে এবং এই ধরনের টেস্ট এর জন্য দেশে সরকারী/বেসরকারী পর্যায়ের ল্যাবে টেস্ট করার সুযোগ রাখতে হবে। এই টেস্ট করতে যে এন্টিজেন লাগবে তা অনেক দামী। তাই যারা ভ্যাকসিন সরবরাহ করবেন তারাই এই এন্টিজেন সরবরাহ করবেন এটা সরকারকে নিশ্চিৎ করতে হবে। তা নাহলে আমরা অন্ধকারেই থেকে যাবো, জানতে পারবোনা ভ্যাকসিনগুলো আদৌ কোন কাজ করলো কি করলো না।
অন্যদিকে ভ্যাকসিন কার্যকর হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই যদি দেখা যায় নতুন করে রোগ হচ্ছে, তখন যদি দেখা যায় রোগ সৃষ্টিকারী বর্তমান সার্কোলেটিং ভাইরাসটি মিউটেট হয়ে নতুন একটি স্ট্রেইন হয়েছে তখন আমরা কি করবো? স্ট্যাম্পিং আউট? এটি তো ২/১ টি খামারে হলে। অধিকহারে এই রোগ হতে থাকলে তখন আমাদের রোগসৃষ্টিকারি নতুন এই স্ট্রেইনের ভ্যাকসিন ছাড়া কাজ হবে না। কিন্তু তখন কি এই সকল কোম্পানি আমাদের জন্য এই ধরনের জীবানুর ভ্যাকসিন দ্রুত দেওয়ার জন্য তৈরী থাকবে ? এক বাক্যে বলে দেওয়া যায় “ না”। যদি না থাকে তাহলে আমরা কি করবো? এর উত্তর এখনও জানা যায় নাই। আবার এইচ৫ এন১ এর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কাজ করলেও এইচ৯ এবং এইচ৭ এর বেলায় কি হবে? কারন এটিও তো দীর্ঘসময় ধরে খামারে সমস্যা ঝিইয়ে রাখে। এগুলোর কার্যকর কোন সমাধান না করে ভ্যাকসিন করা হলে এই ভ্যাকসিন কার্যকর কোন ফল বয়ে আনবে না। আর যখন এই কার্যক্রম সফল না হবে তখন এর বিপক্ষে অবস্থানকারী লোকজন বলতে শুরু করবে “আমরা আগেই বলেছিলাম ভ্যাকসিন কোন কাজ করবে না।”ভ্যাকসিন পরবর্তি বিভিন্ন নতুন নতুন জটিলতা কিভাবে মোকাবেলা করা হবে তার কার্যকর কোন ব্যবস্থা না করে কোন ভাবে যেনতেন একটা ভ্যাকসিন দিয়ে চুপচাপ বসে থাকা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
এই কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের কমিটির বেশীর ভাগ সদস্যের সাথে আমার কথা হয়েছে, প্রায় সকলের একমত লোকাল আইসোলেট থেকে ভ্যাকসিন তৈরী ছাড়া এ রোগের স্থায়ী সমাধান হবে না। আর এই ভ্যাকসিন তৈরী এখন সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পেলে দেশেই অতি অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় সব কয়টি স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে কিল্ড ভ্যাকসিন তৈরী করতে সক্ষম হবেন। এমনকি এনডি+এইচ৫এন১+এইচ৯এন২ সহযোগে কিল্ড ভ্যাকসিন তৈরীও সম্ভব। এই জন্য আমাদের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক-বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষনা ইন্সটিটিউট এর সম্মানিত বিজ্ঞানীগন মিলে এই ভ্যাকসিন তৈরী করতে পারেন। এর জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান যেমন- কাজী, প্যারাগন, আফতাব, নারিশ, ফিনিক্স থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে অথবা এই সকল কোম্পানি নিজ উদ্যোগে ভ্যাকসিন তৈরী করে নিজেদের প্রয়োজন মিটানো ছাড়াও সারাদেশে খামারীদের মাঝে সরবরাহ করতে পারেন। দেশে যদি এই সুযোগ সৃষ্টি হয় তাহলে যে কোন সময় স্ট্রেইন পরিবর্তন ঘটলেও অতি দ্রুততার সাথে পরিবর্তিত স্ট্রেইনের ভ্যাকসিন উৎপাদন করে তা সরবরাহ করা যাবে। এতে অল্প খরচে অধিক কার্যকর ভ্যাকসিন পেতে পারি। অনেকেই মনে করেন- বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। এখানে পোল্ট্রি পপুলেশন কম হওয়ার কারনে ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট করে খুব একটা লাভজনক হবে না। আমি এর সাথে সম্পূর্ন দ্বি-মত পোষন করছি এবং একই সাথে নিচে সংক্ষিপ্তাকারে এই ভ্যাকসিন প্লানের বিবরন দিচ্ছি যাতে সবার জন্য সুবিধা হয়।
১. এই ধরনের পূর্নাঙ্গ একটা ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট করতে ২০-২৫ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।
২. বাংলাদেশে এই মুহুর্তে মুরগির সংখ্যা আনুমানিক ( ব্রয়লার প্যারেন্ট, লেয়ার প্যারেন্ট ও বানিজ্যক মুরগি সহ) ৫ কোটির মতো। যদি ৩ ডোজ করে ভ্যাকসিন করা হয় তাহলে বার্ষিক ভ্যাকসিন প্রয়োজন ১৫ কোটি। আর যদি দেশীয় মুরগি ও হাঁস ধরা হয় তাহলে আরও ৫ কোটির মতো ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ বার্ষিক প্রায় ২০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে। যদি এক ডোজ ভ্যাকসিন ১.৫০ টাকা করে ধরা হয় তাতে অন্যান্য খরচ সহ ১ বৎসরের মধ্যেই এই খরচ উঠে আসবে। তাহলে এর চেয়ে বড় মার্কেট আর কি হতে পারে। যেখানে ৪০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে সেখানে ২০ কোটি টাকা কিছুই না।
অতএব আজকে ট্রায়ালের নামে অকার্যকর ভ্যাকসিন খামারীদের টাকায় খামারে পরীক্ষা করে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয় না করে, এই পরিমান টাকা দিয়ে কমপক্ষে দুইটি বায়োসেইফটি লেবেল-৩ মানের ল্যাব স্থাপন করে লোকাল আইসোলেট থেকে কিল্ড ভ্যাকসিন তৈরী করার আশু ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে অনুরোধ করছি অনতি বিলম্বে দেশে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন তৈরীর জন্য যা যা করা দরকার তার সবকিছুই করুন, তাহলে ভ্যাকসিন দিয়ে পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষার যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তা সফল হতে পারে। অন্যথায় অর্থের অপচয় বৈ কিছুই হবে না।
আনেক কিছু জানলাম।সরোয়ার ভাইয়ের বেশি বেশি লেখার প্রত্যাশা করি।
thank you dr