উপযুক্ত পশু ক্রয়ের উপর মোটাতাজাকরণ প্রযুক্তি নির্ভর করে। আর তাই আজ আপনাদের সাথে এই বিষয়ে দুটো কথা শেয়ার করতে চাই।
মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ায় পশুর বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ প্রক্রিয়ায় সাধারণত ২ বছর হতে ৫ বছরের গরু নির্বাচন করা যেতে পারে। দৈহিক গঠন বয়সের তুলনায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে প্রাপত্ গরুগুলো অঞ্চলভেদে গঠন আকৃতিতে এবং উৎপাদন ক্ষমতায় ভিন্ন। বিভিন্ন প্রকার গরুর একই পুষ্টিমাত্রায় এবং খাদ্য পদ্ধতিতে দৈহিক ওজন বৃদ্ধির মাত্রা ভিন্নতর। এজন্য সব প্রকার পশুকে উন্নত পুষ্টি ও খাদ্য পদ্ধতি ব্যবহার করেও লাভজনকভাবে দৈহিক বৃদ্ধি হয় না। এজন্য নিম্ন লিখিত বিষয়গুরো ব্যবহার করে মোটাতাজাকরণের জন্য গরু নির্বাচন করা জরুরী-
(ক) দৈহিক আকার বর্গরুপ হবে,
(খ) গায়ের চামড়া ঢিলা, শরীরের হাড়গুলো আনুপাতিক হারে মোটা, মাথাটা চওড়া, ঘাড় চওড়া এবং খাটো,
(গ) পাগুলো খাটো এবং সোজাসুজিভাবে শরীরের সাথে যুক্ত,
(ঘ) পিছনের অংশ ও পিঠ চওড়া এবং লোম খাটো ও মিলানো,
(ঙ) গরু অপুষ্ট বা দুর্বল কিন্তু রোগা নয়।
(চ) ২-৫ বৎসরের অথবা কমপক্ষে ২ দাঁতের এঁড়ে বা ষাঁড় গরু ক্রয়।
(ছ) কালচে লাল বা কালো গরুর চাহিদা বেশি। সাদা গরুর চাহিদা কম।
(জ) শংকর জাতের গরু অল্প সময়ে বড় হয়।
গরু মোটাতাজাকরণ কর্মসূচি ডিসেম্বর/জানুয়ারি অথবা জুন/জুলাই মাসে শুরু করলে ভালো হয়। কারণ এ সময় আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকে ফলে কৃমিরোগের চিকিৎসা ভালো হয়। অন্যান্য রোগ ব্যাধিও কম থাকে। বিভিন্ন উৎসবের বাজারে বিক্রয়ের সময় বিবেচনা করে সেই সময়ে শুরু করা যায়। বছরে ৩ থেকে ৪ বার অনায়াসেই এ কর্মসূচি হাতে নেয়া যায়।