বিডিক্যাম্সপাসনিউজ.কম এর নিজস্ব সংবাদদাতা আব্দুস সালাম সাগর জানান, ঢাকার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ভাংচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, অনুষদ ভবনে ভাংচুরসহ শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) ৩১তম বিসিএস এর প্রাণিসম্পদ ক্যাডারে অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে পিএসসির আমন্ত্রণে বাকৃবির ৫ শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। সেখানে ৫ শিক্ষকের মধ্যে ৪ জন অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি অনুষদের শিক্ষক হওয়ায় এর প্রতিবাদে গত বুধবার কৃষি, রাজশাহী ও দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীরা পিএসসিতে গিয়ে ওই শিক্ষকদের প্রবেশে বাধা প্রদান ও বিক্ষোভ প্রদশন করেন।
এ সময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের হস্তক্ষেপে শিক্ষকরা পিএসসিতে প্রবেশ করে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করেন। অন্যদিকে পরে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের কিছুঅংশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে গিয়ে অফিস, আসবাবপত্র ও গাড়িতে ভাংচুর চালায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওইদিন রাতেই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুর রহমান মোল্লা, ভেটেরিনারি স্টুডেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ফেডারেশনের মহাসচিব ও হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিপুল, বাকৃবি ভেটেরিনারি ছাত্রসমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, সমিতির সদস্য শামীমা নাসরিন প্রিয়া।
এদিকে প্রাণিসম্পদের দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীরা অনুষদ ভবনে তালা ঝুলিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম.এ. সালাম, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক জালাল উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য শিক্ষকরা অনুষদীয় সভাকক্ষে দুপর ১টার দিকে আলোচনায় বসলে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা সভাকক্ষে তালা ঝুলিয়ে বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও বেশ কিছু শিক্ষকের কক্ষে ভাংচুর করেন। এসময় আলোচনায় বসা শিক্ষকরা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। দুপুর ২টার দিকে তালা খুলে দিলে শিক্ষকরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল হকের সাথে আলোচনায় বসেন। এসময় তাঁরা উপাচার্যকে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান এবং উদ্ভুত ঘটনার জন্য শিক্ষার্থীরা দুঃখও প্রকাশ করেন। এ সময় উপাচার্য মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে বাকৃবি ভেটেরিনারি ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তারা নিজেরা ভাংচুর করে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম.এ. সালাম বলেন, এসব ঘটনা অনাকাঙ্খিত। তবে শিক্ষার্থীদের অনুরোধে মামলা প্রত্যাহারে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
খবরঃ বিডিক্যাম্পাসনিউজ/১২/০৪/১২ 😳
দূর্বার আন্দোলন গড়ে উঠুক। দেশের ৯০% ভেটেরিনারিয়ান আর ১০% এনিম্যাল হাজবেন্ড্রী গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে। ডিএলএস-এ কিন্তু এনিম্যাল হাজবেন্ড্রীপন্থী ভেটেরিনারিয়ান আছে, এদের রুখতে হবে। এরা ডিজির দালাল। তা নাহলে কিভাবে এই ডিজি পরপর ২বার এক্সটেনশন পায়। বিভিএ-কে বাধ্য করতে হবে একশন নিতে। এখনই আন্দোলনের মখ্যম সময়। তা নাহলে গত বিসিএস-এ ৩৮ জন এনিম্যাল হাজবেন্ড্রী গ্র্যাজুয়েটকে ভিএস পদে সুপারিশ করেছে, এবার যে তা ৬৮ জন-এ দাঁড়াবে না তার কি নিশ্চয়তা? আমার মনে হয় এবার আন্দোলনের পরিবেশ সম্পূর্ণ ভেটেরিনারিয়ানদের পক্ষে। কারণ, ইন্টার্ণীর জন্য এমনিতেই বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী ঢাকায় অবস্থান করছে, বিভিএ’র সভাপতি একজন প্রফেসর হওয়ায় শিক্ষকদের একাত্মতা ও অংশগ্রহণ করা বা তার সাথে কথা বলা সবকিছুই অনেক সহজ হবে। এছাড়াও আরেকটি বড় সুবিধা হলো পিএসসির বিরুদ্ধে একটি মামলা চলছে। সুতরাং এখন শুধু দরকার রাজপথ গরম করে রাখা। জয় সুনিশ্চিত….
১০০ % একমত ।
its like that a family planning officer (non doctor) takes the viva of a medical officer. it is totally unacceptable, undesirable and unlawful. it is not only a injustice to the applicant but also there is a chance to be harassed of them by the examiner. I think and belief DG is the chief conspirator of that matter and we, the silent vet., inactive VBA leaders and flattering vets of DLS, are the responsible for that. How a non-vet is being hold the post of DG again & again. we should always vigilant about our rights. friend keep with the path of truth, we must succeed.
দিনের পর দিন চুপ থেকেছি। আর কত? দেশের অনেক উপজেলায় ভেট. সার্জন নেই। সবকিছু চলছে তথাকথিত ফ্যামিলি প্ল্যানিং অফিসার(!) দিয়ে। আর এজন্যই এই সেক্টরের আজ এই করুণ হাল। বার্ড ফ্লুতে ছেয়ে গেছে গোটা দেশ। পোল্ট্রী সেক্টর মুখ থুবড়ে পড়েছে, কোমড় ভেঙ্গে গেছে। আবার কবে এই কোমড় সোজা হবে কেউ জানে না। এই ফ্যামিলি প্ল্যানিং অফিসার(!)দের জন্যই প্রতি ইউনিয়নে ভেট. সার্জন নেয়ার প্রক্রিয়াটি থেমে গেছে। এডহক ভিত্তিতে নিয়োগের কথা ছিল, স্পেশাল বিসিএস-এর কথা শুনেছিলাম… সব ভেস্তে গেছে, সব। আজ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে ভেটেরিনারিয়ানদের মর্যাদা! আমরা আর কত মার খাব মুষ্টিমেয় এই ক’জন দালালের কাছে? নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে, সব অন্যায়কে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে হবে.. জাগো, ভেটেরিনারিয়ান জাগো….