ভাবছেন পানির মধ্যে ডিম ছেড়ে দিয়ে ফুটিয়ে নিলেই তো তা একসময় সিদ্ধ হওয়ার কথা। এর আবার সঠিক বা বেঠিক কী আছে? কিন্তু ‘হার্ডবয়েল’ বা ভালোভাবে সিদ্ধ করার কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই কেবল সিদ্ধ ডিমের আসল সৌন্দর্য ফুটে ওঠে এবং যাবতীয় গুণাগুণ অক্ষুণ্ন থাকে। সম্প্রতি ফুড সায়েন্সবিষয়ক লেখক হ্যারল্ড ম্যাকগে ডিম হার্ডবয়েলের এই নন্দনতত্ত্বের কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন সঠিকভাবে ডিম সিদ্ধ করার কয়েকটি নিয়মও। ম্যাকগে জানিয়েছেন, হার্ডবয়েল করতে হলে প্রথমে ডিম কেনার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। ডিম কিনতে হবে কমপক্ষে এক সপ্তাহের পুরোনো। কারণ, পুরোনো ডিম ভালো সিদ্ধ হয়। তবে যদি ডিম একেবারে নতুন হয়, সে ক্ষেত্রে পানিতে আধা চামচ বেকিং পাউডার মিশিয়ে তারপর তাতে ডিম সিদ্ধ দিতে হবে। ডিম যদি ফ্রিজে রাখা থাকে তবে সেটি ফ্রিজ থেকে বের করার পর কিছুক্ষণ বাইরে রেখে তবেই সিদ্ধ করা ভালো। এতে

বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে ডিমটির তাপমাত্রা মানিয়ে যায় ও ডিমটি ভালোভাবে সিদ্ধ হয়। তবে ফ্রিজ থেকে বের করার পর দুই ঘণ্টার অতিরিক্ত তা বাইরে রাখা যাবে না। ডিম ফোটানোর পাত্রটিতে ডিম রেখে দুই ইঞ্চি পরিমাণ অতিরিক্ত পানি দিতে হবে। একসঙ্গে বেশি ডিম সিদ্ধ করার যাবে না, এতে ডিম ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে বার্নার বা চুলা জ্বালিয়ে ডিমের পাত্রটি ঢেকে দিতে হবে। পানি পরিমিত তাপে ফুটতে দিতে হবে। কমপক্ষে ১২ মিনিট ডিমে কোনো নড়াচড়া না করে ফুটতে দিতে হবে। ডিমের আকার বড় হলে অবশ্য সময় দুই থেকে তিন মিনিট বেশি দিতে হবে। পানি থেকে ডিম তুলে ঠান্ডা পানিতে কিছুক্ষণ রাখতে হবে। এরপর সেখান থেকে ডিম তুলে ডিমের খোসা কিছুটা ফাটিয়ে আবারও ঠান্ডা পানিতে রাখতে হবে। এতে ডিমের খোসা পানি শোষণ করে নেয় এবং খোসা ছাড়াতে সুবিধা হয়। এরপর খোসা ছাড়িয়ে নিলেই পাওয়া যাবে পরিবেশনযোগ্য হার্ডবয়েল ডিম। খোসা ছাড়ানো এই ডিম রেফ্রিজারেটরে এক সপ্তাহ পর্যন্ত রেখে দেওয়া যায়।
খুব ভালো লাগল সাইটটি দেখে।
ধন্যবাদ। নিয়মিত দেখবেন আশা করি।