দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াত সাপটি। রীতিমতো সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করত সে। ১৪ মিটার (প্রায় ৫০ ফুট) লম্বা ও এক টনের বেশি ওজন হলে যা হতে পারে আর কি!
না, দুই-চার-দশ বছর নয়, ভয়ানক এই সরীসৃপের অস্তিত্ব ছিল প্রাগৈতিহাসিক যুগে—প্রায় পাঁচ কোটি ৮০ লাখ বছর আগে বিচরণ করত এ সাপ। সমপ্রতি উত্তর কলম্বিয়ার একটি খনিতে পাওয়া গেছে এর ফসিল বা জীবাশ্ম। সাপটি এতই বিশাল আকৃতির যে আস্ত একটি কুমির গিলে ফেললেও তার পেট দেখে তা বোঝা যেত না। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘টাইটানোবোয়া’।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, কয়েক বছর আগেও বিজ্ঞানীরা এ সাপটির ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। সমপ্রতি ফসিলটির সন্ধান পাওয়া গেছে।
স্মিথসোনিয়ান ট্রপিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী কার্লোস জারামিলো বলেন, ‘স্বপ্নেও কি আমরা ১৪ মিটার লম্বা অজগর দেখি? আজকের যুগের সবচেয়ে বড় সাপটিও এর অর্ধেক।’ কার্লোসের দলটিই ফসিলটি আবিষ্কার করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ আমেরিকার অজগরজাতীয় সাপ বোয়া কন্সট্রিক্টর ও অ্যানাকোন্ডার বংশধর টাইটানোবোয়া। সাপটি বিষধর ছিল না, তবে এটি তার শিকারকে প্রচণ্ড শক্তি দিয়ে দুমড়েমুচড়ে ফেলত। এর চাপের শক্তি ছিল প্রতি বর্গইঞ্চিতে ৪০০ পাউন্ড ওজনের সমান।
টাইটানোবোয়ার ফসিল আবিষ্কারের ফলে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর জলবায়ুর ইতিহাস ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির গবেষণায় কিছু প্রয়োজনীয় সূত্র পেতে পারেন। কেননা, সাপ নিজের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। বেঁচে থাকার জন্য বাইরের তাপের ওপর নির্ভর করে।
ব্লোচ বলেন, ‘ছয় কোটি বছর আগে ডাইনোসর বিলুপ্তির পর বিষুবরেখায় অনেক বেশি তাপমাত্রা ছিল। এ কারণেই টাইটানোবোয়া আকারে এত বড় হতো। বিশেষ করে সরীসৃপজাতীয় প্রাণীর বড় হওয়ার এটাই কারণ।’ পৃথিবীর উষ্ণতা আবার বাড়ছে। তা হলে কি টাইটানোবোয়া ফিরে আসতে পারে?
সূত্র: বিবিসি ও প্রথম আলো. তারিখ: ০৫.০৪.১২
Vetsbd Livestock related only Bangla blog
thanx
ধন্যবাদ।এরকম আরো লেখা প্রত্যাশা করছি।