বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশনের সভাপতি পদে ডা. এস. এম. নজরুল ইসলাম স্যারকে কেন নির্বাচিত করা যায় ?

১. ডা. এস.এম. নজরুল ইসলাম প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তাদের মধ্যে ২য় সারির সিনিয়র একজন কর্মকর্তা । প্রথম লাইনের সিনিয়র সবাই ডিডি/ ডাইরেক্টর পদে কর্মরত আছেন । সরকারী চেয়ারে বসেই আরও প্রায় ২ বছর পেশার স্বার্থে কাজ করার সুযোগ পাবেন । এই ক্ষেত্রে ডিএলএস ভেটেরিনারিয়ানদের তিনি পছন্দের পাত্র হওয়ার যোগ্যতা রাখেন ।


২. তিনি শিক্ষানুরাগী, বিশেষ করে ভেটেরিনারি শিক্ষা ও গবেষণাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে থাকেন । তাঁর কর্মস্থলে ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট এবং পিএইচডি ফেলোদের বিশেষ বিবেচনায় কাজ করার সুযোগ প্রদান করে থাকেন । এক্ষেত্রে শিক্ষা ও গবেষণার সাথে জড়িত ভেটদের নিকট তিনি অনেক জন প্রিয় ।
৩. দাতা সংস্থাকে আকৃষ্ট করার তাঁর রয়েছে ব্যাপক কৌশল । যার প্রমাণ তিনি বিশ্ব ব্যাংকে র অর্থায়নে এআইপিআরপি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে প্রমাণ করেছেন । এমনকি বর্তমান কর্মস্থলে জাইকার গ্র্যান্টে চিড়িয়াখানার উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে ২য় দফা প্রমাণ করেছেন। যিনি বিদেশীদের সাথে করেসপন্ডেন্স এ পারদর্শী তিনি অবশ্যই সক্ষম হবেন বিভিএ কে ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি এসোসিয়েশনের সদস্য করে আনতে ।
৪. সবার দাবী অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন করা । এটাতো তিনি প্রথম করবেন কারণ অর্গানোগ্রাম না হওয়ার কারণে তাঁর ব্যাচম্যাটগণ উপপরিচালক পদে চাকুরি করছেন কিন্তু তিনি হতে পারছেন না।
৫. তিনি ডাইনামিক এবং দ্রুতগামী । বয়স ষাটে ছুই ছুই কিন্তু কাজে নামলে হারিয়ে যায় অর্ধেক বয়স । অন্য কর্মকর্তারা যখন অফিসে আসার জন্য ঘর থেকে যাত্রা করেন তিনি তখন অফিসে হাজির হয়ে যান ।
৬. তিনি শতভাগ ডিজিটাল । তাঁর বয়সী অনেককে খুঁজলে পাওয়া যাবে যারা নিজের মেইল খুলান অধস্তনদের দিয়ে কিন্তু তিনি মোবাইল, ট্যাব এবং ল্যাপটপসহ সকল ডিভাইসের মাধ্যমে 

২৪ ঘন্টায়ই নেটের আওতায় থাকেন । এমনকি অফিসের বাইরেও অবস্থান করে মোবাইলে এপস সংযোজন করে নিজ দপ্তরের কর্মকান্ড মনিটরিং করে থাকেন।
৭. তিনি পেশাগত জ্ঞানে সমৃদ্ধ এক ভেটেরিনারিয়ান । ডেনমার্ক, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও জাপানসহ যে সব দেশে পড়াশুনা করতে গেছেন সেখানে মেধা ও নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন । প্রশাসনিক পদে থেকেও এখনও সার্জারী কীংবা অবস্ট্যাট্রিক্যাল কেইস হ্যান্ডেল করেন ।
৮. একজন ওয়াইল্ডলাইফ ভেটেরিনারিয়ান হিসাবে তিনি ও.আই.ই এর কাছে বাংলাদেশের নেতৃত্ব নেতৃত্ব দিচ্ছেন । পদাধিকার বলে বঙ্গবন্ধু ওয়াইল্ডলাইফ অ্যাওয়ার্ড নির্বাচন কমিটির একজন অন্যতম সদস্য ।
৯. তিনি একজন সফল ভেটেরিনারি পেশাজীবি । প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডেইরি, পোল্ট্রি, পেট এনিম্যাল , কৃত্রিম প্রজনন ও সম্প্রসারণ কর্মকান্ডে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন । পূর্ববর্তী কর্মস্থলে তিনি ক্যানাইন পার্ভো ভাইরাস নিয়ে পিএইচডি করার কাজ শুরুই করেছিলেন প্রায় কিন্তু অতি ব্যস্ত প্রশাসনিক দায়িত্বের কারণে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন ।
১০. পেশাজীবিদের জন্য কিছু করার জন্য যা লাগে তা হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের সাথে সংশ্লিষ্টতা । সেই যোগ্যতাও তিনি রাখেন । ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে সংশ্লিষ্টতা এমনকি তিনি বর্তমান বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদেরও সহসভাপতি ।

অতএব দক্ষ, যোগ্য, মেধাবী ও ডাইনামিক এই পেশাজীবি নেতাকে আসন্ন বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশনের সভাপতি পদে নির্বাচিত করার জন্য সর্বস্তরের শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় ভেটেরিনারিয়ানদের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি ।

 

 

ডা. নাজমুল হুদা

ভেটেরিনারি অফিসার, জাতীয় চিড়িয়াখানা

লেখকঃ Dr. Md. Karim Uddin

Field Research Officer, Zoonotic Diseases Research Group, Centre for Communicable Diseases (CCD), icddr,b

এটাও দেখতে পারেন

Agrovet Pharma

এগ্রোভেট ফার্মার ১যুগ পূর্তি উৎসব ও বাৎসরিক সেলস্ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

  বাংলাদেশের স্বনামধন্য ভেটেরিনারী ঔষধ কোম্পানী এগ্রোভেট ফার্মার ১যুগ পূর্তি উৎসব ও বাৎসরিক সেলস্ কনফারেন্স …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.