পূণ্যভূমি সিলেট থেকে শুরু হলো বিভিএ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। ডাঃ ইমরান-ডাঃ আজিজ এবং ডাঃ নজরুল-ড. হাবিব মোল্লা উভয় প্যানেলই একই সাথে নির্বাচনী প্রচারণার যাত্রা শুরু করেন।
সরকারি কর্মকর্তা এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে উভয় প্যানেলই মত বিনিময় করেন এবং নিজেদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে ভোটারদের কাছে তাদের মূল্যবান ভোট প্রার্থণা করেন।
ভোটারদের কাছে আপনারা কী তুলে ধরেছেন জানতে চাইলে, ডাঃ ইমরান-ডাঃ আজিজ প্যানেলের দপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থী ডাঃ ওসমান গণি শিশির বলেন, “আমাদের ইশতেহার তো আপনারা দেখেছেন, আমরা মূলত ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, দুই বছর পর আমরা নির্বাচন দেব এবং সে লক্ষ্য আমরা নির্বাচনের আগাম তারিখও ভোটারদের জানিয়ে দিয়েছি, যাতে এটা (নির্বাচন) হয়। আর অর্গানোগ্রামের ব্যাপারে আমরা বলেছি, এটা বাস্তবায়নে বিভিএর ভূমিকা যতটুকু আছে, আসলে এ ব্যাপারে তো মূল ভূমিকা ক্যাডার এসোসিয়েশনের, তো বিভিএর ভূমিকা যতটুকু, ততটুকু করা হবে।” এছাড়াও ইশতেহারের অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়েও ভোটারদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এদিকে ডাঃ নজরুল-ড. হাবিব মোল্লা প্যানেলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদপ্রার্থী ডাঃ ইনাম আহমেদ বলেন, “৩৬০ আউলিয়ার পূণ্যভূমি সিলেটের মাটিতে ঘুমিয়ে থাকা হযরত শাহজালাল ও হযরত শাহপরান-এর মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের নির্বাচনী মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছি। আমরা ভোটারদের কাছে অঙ্গীকার করেছি যে, আগামী দুই বছর পর আবার নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে, হয় আমরা আবার আসবো নয়তো নতুন নেতৃত্ব আসবে। আর অর্গানোগ্রামের ব্যাপারে আমরা ইতিমধ্যে কতটা কাজ করেছি তা তুলে ধরেছি এবং ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কৃষিবীদদের অহংকার বাহাউদ্দিন নাছিম ভাইকে সাথে নিয়ে বাকি কাজ শেষ করে অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নে কাজ করে যাবার অঙ্গীকারও করেছি।”
ডাঃ নজরুল-ড. হাবিব মোল্লা প্যানেল ভোটারদের কাছে সভাপতি ও মহাসচিব প্রার্থীর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা পেশ করেন।
দুই প্যানেল একসাথে একই এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছেন ভোটাররা। তারা মনে করছেন, এতে করে নির্বাচনী পরিবেশ সত্যিকার অর্থেই আরো বেশি উৎসব মুখর ও হৃদ্যতাপূর্ণ হবে। প্রার্থীদের জন্যও এটি সুবিধাজনক হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
আজ ১৪ নভেম্বর উভয় প্যানেলই চট্টগ্রাম অবস্থান করছেন। আগামীকাল সেখানকার ভোটারদের সাথে কথা বলার পর প্রার্থীগণ যাবেন কুমিল্লা, এরপর ঢাকা হয়ে তারা যাবেন ময়মনসিংহ। সেখান থেকে খুলনা, বরিশাল এবং তারপর ঢাকা হয়ে আবার দিনাজপুর ও রংপুরে যাবেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।