প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদ ও এর তীরবর্তী চরে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ডাকাতির ঘটনা পূর্বের থেকে এবছর বেশি হচ্ছে বলে জানান চরের বাসিন্দারা। সাধারণত কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যায়।

মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, গরু-ছাগল ডাকাতির ঘটনায় উদ্বিগ্ন চরের বাসিন্দারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাছবাড়ির এক ব্যক্তি জানান, রমজান মাস থেকে এ পর্যন্ত আট নয়বার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা গরীব মানুষ অনেক কষ্টে দুই একটা গরু পালন করি। সেটাও যদি নিয়ে যায় তবে আমরা বউ বাচ্চা নিয়ে কেমনে চলি?
জানা যায়, চিলমারির পূর্বদিক ও রাজিবপুর উপজেলা থেকে উত্তরদিকে অবস্থিত করাই বরিশাল, বড় চর, মাছবাড়ি ইত্যাদি চর থেকে দিনের বেলাতেই নৌকা নিয়ে এসে ডাকাতি করে চলে যায়। রবিবার দুপুরের দিকে এসব এলাকা থেকে প্রায় ৫৪ টি গরু নিয়ে যায়। ডাকাতের হাত থেকে নিস্তার পায়না সুন্দরী মেয়েরাও! তাদের ভীতি প্রদর্শন, করে গরুর মালিকদের পিটিয়ে বাধ্য করা হয় নৌকায় তুলে দেয়ার জন্য। জীবনের ভয়ে চরের বাসিন্দারা অনেক কষ্টে পালিত গরু নৌকায় তুলে দিতে বাধ্য হয়। ভয়ে কেউ থানায় মামলা দিতে যাচ্ছে না।
দেশের দুইটি জলথানার একটি বড় চরে অবস্থিত। তবে তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়াও প্রত্যন্ত এসব চর এলাকায় পুলিশী নজরদারী ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থানের আসামীরা সেখানে আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় আশ্রয় নেয়।
উল্লেখ্য, ব্রহ্মপুত্র নদের বিশাল চর এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর ঘাস জন্মে। তাই সেখানে গরু পালন করে ব্যাপক লাভবান হওয়া সম্ভব। তবে এভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটলে কৃষকরা গরু পালনে নিরুৎসাহিত হতে পারেন।
Vetsbd Livestock related only Bangla blog