CVASU-তে হয়ে গেল ভেটসবিডি’র প্রথম meet-up

cvasu
গত কাল CVASU তে ভেটসবিডি’র meet up টা ভালই হলো। নতুন প্রজন্মের ভেটেরিনারিয়ানদের নতুন কিছু করার, নতুন ভাবে কিছু করার যে প্রত্যয় তাদের কন্ঠে উচ্চারিত হলো, তা নিঃসন্দেহে আশা জাগানিয়া।


ওদের চিন্তা-চেতনায় অনেক পরিবর্তন। আমি আমার সময়ে আমার সহপাঠীদের অনেকের মাঝেই ভেটেরিনারিতে পড়তে এসে হতাশার কথা শুনেছি। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। নতুন নতুন চাকরির ক্ষেত্র ওরা নিজেরাই খুঁজে নিচ্ছে। এমনকি কেউ কেউতো চাকরি নিয়ে দেশের বাইরেও চলে গেছে। ভাল কিছু করার যে যে একটা সুস্থ  প্রতিযোগী মনোভাব ওদের মাঝে লক্ষ্য করলাম তা সত্যিই দারুন।

তাপস জানালো আরেকটি সুখবর, নতুর প্রজন্মের ভেটেরিনারি সার্জনরা নাকি এখন উপজেলাগুলোতে প্রশাসন ক্যাডারদের সাথে তাদের সরব উপস্থিতি বজায় রেখে চলছে। অফিসারস পরিষদেও রাখছে জোরালো প্রতিনিধিত্বশীল ভুমিকা।

পরাগ দাশ, মাইক্রোবায়োলজিতে মাস্টার্স করছে। স্বপ্ন, রিসার্চ অর্গানাইজেশনে যোগ দেয়া। বলল, স্কলারশীপটা আগে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দখলেই ছিল বলা চলে, সেটা আর আগের সেই গন্ডির ভেতর নেই। এখন সাধারন ছাত্ররাও নিজেরাই স্কলারশীপ যোগাড় করে নিতে শিখেছে।

মিজানুর রহমান, প্যারাসাইটোলজীতে মাস্টার্স করছে। জানালো, ভেটেরিনারি শিক্ষাটা এখন কেবল সংশ্লিষ্ট একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, এখন দেশের ভেতর আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রমও চলছে। এমনকি দেশের বাইরে থেকেও স্টুডেন্টরা আসছে ওদের ক্যাম্পাসে। আবার ওরাও যাচ্ছে সেদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে। প্রতি বছর চার জন করে শিক্ষার্থী বিনিময় হচ্ছে। যা সত্যিই এক অনন্ন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

কায়সার, সাইদুর বা সাইফুলদের মতো যারা ইন্টার্ণী করছে, ওদের ভাবনাটাও বেশ গোছালো। জানবার আগ্রহ বা শেখার আগ্রহটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। যদিও ওরা একবছরের ইন্টার্ণশীপ করছে, তবু তারা মনে করে রিসার্চ অর্গানাইজেশনগুলোতে ইন্টার্ণদের জন্য যে সময় বরাদ্দ আছে তা নিতান্তই কম। যেমন icddr,b-তে ওরা মাত্র ২ দিন সময় পায়, যা একেবারেই অপ্রতুল। তারা এই সময়কে বাড়ানোর অনুরোধ করে।

আলোচনা শেষ করতে করতে সন্ধ্যা পার হয়ে গেল। এরপর ক্যাম্পাসটা একটু ঘুরে দেখলাম। এ্যানাটমি মিউজিয়ামটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। যদিও পুরোটা দোখতে পাইনি। তাই অতৃপ্তি মেটাতে আবারো হয়তো চলে আসবো খুব শিঘ্রই। সেবার আয়োজনটা আরো একটু বড় করবার প্রত্যাশা রইলো।

বন্ধুরা, তোমাদের আতিথেয়তায় আমি ভীষণ মুগ্ধ। তাই তোমাদের প্রতি রইলো অশেষ কৃতজ্ঞতা আর নিরন্তর শুভেচ্ছা।

লেখকঃ ডাঃ তায়ফুর রহমান

ডাঃ তায়ফুর রহমান; ডিভিএম, এম এস, এমপিএইচ ; ন্যাশনাল টেকনিক্যাল এডভাইজার-এপিডেমিওলজি, জাতিসঙ্ঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা, ঢাকা; ব্লগ এডমিনিষ্ট্রেটর, ভেটসবিডি

এটাও দেখতে পারেন

বিভিএ’র নবনির্বাচিত কমিটির বিগত এক মাসের অর্জন

এক মাস পূর্ণ করলো বিভিএ ২০১৭-২০১৮ কমিটি। কেমন ছিলো এই এক মাসের অগ্রযাত্রা ? কী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.