ডাঃ আহসানউল্লাহ মানিক, পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ব্যাচের ছাত্র ছিলেন৷ ডিভিএম পাশ করে ভেটেরিনারি সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন গলাচিপা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে ।
কত স্বপ্নই না ছিল দুচোখে। কিন্তু তার সব স্বপ্নই আজ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর মারাত্মক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে তিনি আজ এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । একবার ভাবুনতো কেমন আছে মানিকের পরিবার? বাবা গত হয়েছেন এই মাস চারেক আগে। মা-ও অসুস্থ। চার ভাই-বোনের সংসারে আহসানউল্লাহ মানিক মেজো। আমরা যখন পরিবারের সবাই মিলে ঈদের আনন্দ উদযাপনে ব্যাস্ত, ঠিক তখন মানিকের পরিবার এক একেটা দিন পার করছেন চরম উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগের মধ্য দিয়ে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ কথা হয়েছিল বড় ভাইয়ের সংগে। বলেছিলেন বৃহঃবার অফিস শেষ করে বাড়ি যাবেন। আর সবার মত তিনিও পরিবারের সবাইকে নিয়ে অানন্দে ঈদ উদযাপন করবেন।
সরকারি চাকির পেলেন, বাবাহীন সংসারের হালটাও ধরলেন, এবার নিজের একটা সংসার হবে। কত স্বপ্ন, কত আশা। কিছুই হলো না। সড়ক দূর্ঘটনার ভয়ঙ্কর আঘাত সব কেড়ে নিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর হানা দেয় মানিকের জীবনে।
কিন্তু, আমরা এতগুলো ভাই থাকতে একজন মানিক ভাইয়ের সব স্বপ্নই কি মুছে যাবে ? এতগুলো বোন থাকতে মানিকের একমাত্র বোনের তার ভাইয়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হতে হবে? এইতো কদিন আগেই স্বামীকে হারালেন, এবার সন্তান হারানোর ব্যাথাও কি সহ্য করতে হবে? এ যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কষ্ট !
আজ সকালেই মানিকের বড় ভাইয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। এখনও ডাক্তার পরিস্কার করে কিছু বলতে পারছেননা । আরো ৩টা অপারেশন হয়তো করতে হবে। কিন্তু তার জন্যতো চাই টাকা, অনেক টাকা। এতো টাকাতো যোগাড় করা মানিকের পরিবারের পক্ষে অসম্ভব। তবে কি আশঙ্কা পরিনত হবে সত্যে? না, তা হতে পারে না, আমরা আছি মানিকের জন্য। যারা মানিকের চিকিৎসার জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে চাই, তারা বিকাশ করুন এই নম্বরে- ০১৭২৭০১৪২০৯।