সোয়াইন ফ্লু – ২১ শতকের মহামারী

H1N1 ভাইরাস সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে থাকায় ১১ জুন ২০০৯ সোয়াইন ফ্লু’কে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ৪১ বছরের মধ্য এটিই প্রথম ফ্লু মহামারী । WHO ফ্ল সংক্রমণকে মহামারী সতকতার মাএা বারিয়ে ৬ ধাপ করেছে । এতে ১৯৬৮ সালের পর বিশ্বে প্রথম ফ্লু মহামারী ঘোষিত হলো । এপ্রিলে মেক্সিকো থেকে শুরু হওয়া সোয়াইন ফ্লু পরবতিতে যুক্তরাষ্টে, ব্রিটেন, অষ্টেলিয়া, চিলি, জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে ।


ফ্লু’র ইতিহাস

সাল—–দেশ——নাম করণ
১৯১৮—স্পেন—স্প্যানিশ ফ্লু
১৯৫৭—এশিয়া—এশিয়ান ফ্লু
১৯৬৮—হংকং—হংকং ফ্লু
১৯৭৬—নিউ জাসি—সোয়াইন ফ্লু
২০০৯—মেক্সিকো—H1N1
বাংলাদেশে সোয়াইন ফ্লু – ১৮ জুন ২০০৯ বাংলাদেশে প্রথম সোয়াইন ফ্লু রোগী শনাক্ত করা হয় ১৮ জুন ২০০৯ ।

সোয়াইন ফ্লু – সোয়াইন ফ্লু হচ্ছে মানব দেহের ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাসের মতোই এক ধরনের ভাইরাস, যা প্রধানত শুকূরের জেনেটিক বৈশিষ্ট¨ মানব দেহের সাথে থাকায় এ ভাইরাসটি পাখির চেয়ে দ্রুত মানুসের দেহে সংক্রমিত হতে পারে ।

সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণের লক্ষণ – এ ভাইরাস আক্রান্ত মানব দেহের সাধারন ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই কাঁশি , হঠাৎ জর, মাথাব্যাথা, পেশির খিচুনি ইত্যাদি দেখা । তবে মারাত্মক আকার ধারণ করলে নিউমোনিয়া , একাধিক অঙ্গ- প্রতঙ্গ অবশ হয়ে যাওয়া এবং মৃত¨ ঘটতে পারে । সাধারণ ফ্লু’র মতোই এরাও ২ থেকে ৫ দিন সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে ।

এ ভাইরাস প্রতিরোধে কোনো প্রতিষেধক কী ? এ ভাইরাস প্রতিরোধেমানব দেহে ব্যাবহারের মতো কোনো প্রতিষেধক নেই, তবে শুকূরের জন্য প্রতিষেধক রয়েছে । তবে এ ভাইরাসের সাথে মানব দেহের বেশ মিল থাকায় সাধারন ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রতিষেধক ব্যাবহার করলে তা কিছুটা নিস্তার দেবে ।

সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস প্রতিরোধ – নাক – মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যাবহার করা প্রয়োজন। হাঁচি , কাশি দেয়ার সময় মুখে হাত না দিয়ে টিস্যু পেপার, টাওয়েল বা রুমাল ব্যাবহার করতে হবে । পরে তা অন্য কাপড় থেকে আলাদা করে ধুয়ে নিতে হবে ।করর্মদনের সময় সাবধান ! নিশ্তিত হতে হবে ঐ ব্যাক্তি ফ্লুতে Avক্রvন্ত কিনা । হ্যান্ডশেক বহু রোগের জন্ম দেয়। কব্জি পর্যন্ত হাত ধোয়ার অভ্যাস প্রতিনিয়ত করতে হবে । ফ্লুতে আক্রান্ত ব্যাক্তিরা জনবহুল স্থান যেমন – বাজার, বাস , পাবলিক প্লেস ও স্কুলে যেন প্রটেকশন নিয়ে ভ্রমণ করে ।

তথ্য – কনিকায় সোয়াইন ফ্লু –
1. সোয়াইন ফ্লুতে Avক্রvন্ত হয় সবপ্রথম মেক্সিকর শিশু এদ্গার হানান্দেজ ।
2. সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল মেক্সিকর ভেরাক্রজ রাজের লা গ্লরিয়া ।
3. ৩০ এপ্রিল মরনঘাতী সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসের নাম পরিবতন করে World Health Organization (WHO), ভাইরাসটির নতুন নাম দেয়া হয় Influenza A(H1N1).
4. বাংলাদেশের একমাএ শুকুর খামার অবস্থিত রাঙ্গামাটিতে ।
5. সোয়াইন ফ্লুতে মেক্সিকোতে মারা যাওয়া বাংলাদেশীর নাম মামুন হোসেন।
6. ২২ মে ২০০৯ WHO- এর সবশেষ তথ্য মতে, বিশ্বের ৪২ টি দেশে সোয়াইন ফ্লু বিস্তার লাভ করেছে , য়ার মধ্যে রোগীর সংখ্যা ১১,১৬৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৮৬ ।

প্রতিবছর বিশ্বের ১০ শতাশ মানুষ সাধারণত ফ্লুতে আক্রান্ত হয় । ফ্লু সাধারণত প্যানডেমিক বা মহামারি হয় অথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোগ ছড়িয়ে পড়ে । WHO অনুসারে মহামারী – এর সতকতা পদ্ধতি

১- মানব দেহে পশুর ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার নতুন কোন খবর নাই ।
২- পশুর ভাইরাস মানব দেহে সংক্রমিত হচ্ছে ।
৩- মানুষের মাঝে বিক্ষিপ্ত প্রাদুভাব তবে কোনো আঙ্গলিক পযায়ে মানব দেহ থেকে মানব দেহ সংক্রমণের খবর নাই ।
৪- আঙ্গলিক পযায়ে মানব দেহ থেকে মানব দেহে ছড়িয়ে পড়েছে । মহামারী আশঙ্কা
৫- দুটি দেশের মাঝে মানব দেহ থেকে মানব দেহে ছড়িয়ে পড়েছে । এর অথ হচ্ছে মহামারী আসন্ন ।
৬- অন্তত তিনটি দেশের মাঝে মানব দেহ থেকে মানব দেহে ছড়িয়ে পড়েছে। এর অথ হচ্ছে মহামারী ঘটছে।

সুএ –
1. Swine Influenza: Wikipedia
2. http://en.wikipedia.org/wiki/Swine_influenza
3. http://www.flu.gov/about_the_flu/h1n1/
4. World Health Organization (WHO)
5. http://www.fao.org/ag/againfo/programmes/en/empres/ah1n1/FAQ.html

লেখকঃ ডাঃ মোঃ নাহিদ হাসান

DVM, M.S in Pharmacology (BAU) E-mail: nahiddvm788@gmail.com

এটাও দেখতে পারেন

Antibiotics: Handle with care

World Antibiotic Awareness Week during 13-19 November 2017 is being observed globally with the aim …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.