মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে, বাঘ কাঁপানো এই শীতে আপনার কবুতর যেন না কাঁপে সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে “শীতে কবুতরের যত্ন” শীর্ষক একটি লেখার প্রথম পর্বটি নিশ্চই আপনারা পড়েছেন, না পড়ে থাকলে এখান থেকে পড়ে নিন। আজ দ্বিতীয় কিস্তি দিচ্ছি।
প্রথম পর্বে দেখিয়েছিলাম কবুতর বা যেকোন পাখি কিভাবে নিজে থেকেই শতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। সেসব ব্যবস্থার পাশাপাশি আপনারও কিছু করবার আছে যার সাহায্যে আপনি আপনার কবুতরগুলোকে শীত মোকাবেলায় আরও বেশি সহযোগীতা করতে পারেন।
১। প্রথম যে কাজটি করতে পারেন তা হলো কবুতর থাকার ঘরের উষ্ণতা বাড়াতে পারেন। এক্ষেত্রে বেশির ভাগ খামারি ঘরের ভেতর আলো জ্বালিয়ে তাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে থাকেন। এভাবে ঘরের তাপমাত্রা বাড়ানোর বেলায় কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে-
ক) আলো অপ্রাপ্ত বয়স্ক কবুতরে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই যৌন পরিপক্কতা এনে দেয়। এটি তার জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ।
খ) প্রয়োজনের অতিরিক্ত আলো বিভিন্ন রকমের বদভ্যাস তৈরি করতে পারে,যা নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়ায়।
গ) অতিরিক্ত আলো অতিরিক্ত খাবার গ্রহণে সাহায্য করে যা কিনা স্থুলতা তৈরি করে স্বাভাবিক ডিম পাড়ায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
ঘ) অন্ধকারে কবুতর বিশ্রাম নেয়, তাই সারারাত আলো জ্বেলে রাখলে বিশ্রাম নেয়ার সময় কখন?
আসলে কবুতরের জন্য ১৫-১৬ ঘণ্টার বেশি আলো দেয়া যাবে না। আর আলো হিসাব করতে হবে দিনের আলো + কৃত্রিম আলো মিলিয়ে। সূর্য উদয় থেকে সূর্যাস্তের আধা ঘন্টা পর্যন্ত এখন দিনের আলো থাকে। তাই এই সময়টুকুর সাথে আরো কতটা সময় আলো জ্বালাতে হবে হিসেব করে নিন। আর সেইভাবে আলো দিতে পারেন। তবে মনে রাখবেন আলো শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়স্ক কবুতরের জন্যই প্রয়োজন।
ঘরের তাপমাত্রা বাড়ানোর অন্য কৌশল নেয়া যেতে পারে যেমন, রুম হিটার ব্যবহার করা। আর বিদ্যুত খরচ কমাতে চাইলে নিজেই একটি রুম হিটার নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন বালু আর কয়লা দিয়ে। পদ্ধতিটা লিখে বোঝানোটা বেশ কঠিন। আপনি একটা টিনের তৈরি জার ব্যবহার করতে পারেন। জারটির নিচ থেকে ৪-৫ ইঞ্চি উপরে ছোট ছোট ছিদ্র করে আড়াআড়িভাবে কয়েকটি লোহার রড ঢুকিয়ে দিন। এভাবে একটি ছাকনি তৈরি হবে। যার উপর কিছু কাঠ কয়লা রাখুন। ও হ্যা, রড ঢুকনোর আগে জারটির নিচের দিকের ৪-৫ ইঞ্চির মধ্যে জ্বালানি কাঠ প্রবেশ করানোর জন্য একটা বড় ছিদ্র করে নিন। এবার লোহার রডের ছাকনির উপর কাঠ কয়লা রেখে নিচ দিয়ে জ্বালানি কাঠ ঢুকিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিন। মানে উদ্দেশ্য হলো কাঠ কয়লায় আগুন ধরানো। কয়লায় আগুন ধরে গেলে জ্বালানি কাঠ সরিয়ে নিন। ধোঁয়া বের হওয়া শেষ হলে জ্বলন্ত কয়লা সমেত টিনের জারটি কবুতরের ঘরে প্রবেশ করান। এরকম কয়েকটা বানিয়ে নিতে পারেন-আপনার রুম হিটার! বোঝার সুবিধার জন্য আমি একটা ছবি এঁকেছি।

২। ঘরের ভেন্টিলেশানঃ অনেকে শীত থেকে বাঁচাতে ঘর সম্পূর্ণরূপে পলিথিন বা মোটা কাপড় দিয়ে ঘিরে দেন, যা করা কখনই উচিত নয়। পলিথিন বা মোটা কাপড়ের পরিবর্তে চট ব্যবহার করা উত্তম কেননা, এতে ঘরের ভেতর তৈরি হওয়া এমোনিয়া গ্যাস সহজে বের হতে পারে আর বাইরে থেকে পর্যাপ্ত অক্সিজেনও ঘরে ঢুকতে পারে।
৩। খুব বেশি ঠান্ডা পানি কবুতরের পানি খাওয়ার পরিমান কমিয়ে দিতে পারে। এতে পানি স্বল্পতা দেখা দিতে পারে ফলে খাবার সঠিকভাবে হজম হবে না। তাই একটু কুসুম গরম পানি অল্প অল্প করে বার বার দিতে হবে, যাতে করে পানি সবসময়ই হালকা গরম থাকে।
৪। খাবারে এনার্জি বা শক্তির পরিমান বাড়াতে হবে। এজন্য খাবারে ভুট্টার পরিমান শতকরা ৬০ ভাগ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া যেতে পারে।
৫।এ সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আর শরীর ভেতরের তাপ বাড়াতে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন AD3E ও E-Sel খাওয়াতে পারেন।
আপাতত এ পর্যন্তই । কোন কিছু মনের ভুলে বাদ পড়ে থাকলে মনে হওয়া মাত্র আপডেট করে দেব। আর আপনাদের কিছু জানার থাকলে প্রশ্ন করতে পারেন।
Alhamdulillah, thanks for the article. Apnader ekta facebook page koren bhaiya. Oshonkgho fan hobe In Shaa Allah.
amar kobutor ar bacchar fox uthse. Baccha gula shukai gesay. Jimacche. Amar 40 ti kobutor ase. Ader k rdv ar tika disi. But fox ar tika di naai. Akhon amar ki kora uchit?
Amr kobutor jimai khawa dawa bad diea disa..
Ekta maraw gese er hat thaka bachar upai ki…
Apni ki apnar kobutor k vaccine dicen ?
Very helpful post.