অনেক খামারীই এই শীতে তার কবুতর নিয়ে বেশ চিন্তায় আছেন। আপনাদের চিন্তা খানিকটা দূর করবার লক্ষ্যেইেএকটা ছোট্ট প্রয়াশ চালাচ্ছি। আশা করছি পাশেই থাকবেন। তবে আমার এ লেখাটি দুই পর্বে প্রকাশিত হবে। প্রথম পর্বে আমি যে বিষয়টি তুলে ধরবার চেষ্টা করছি তা হলো শীত প্রতিরোধে পাখির যে নিজেরই কিছু ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আপনাদের কিছুটা ধারনা দেয়া। এতে করে যা হবে, তা হলো আপনাদের অযথা ভয় পাওয়াটা হয়তো দূর হবে। আর পরের পর্বে থাকবে কি করলে আপনি আপনার কবুতরকে শীত মোকাবেলায় সাহায্য করতে পারেন।
আসুন জানি পাখি কিভাবে বিভিন্ন উপায়ে নিজেকে শীত থেকে রক্ষা করে।
নিজেকে উষ্ণ রাখার জন্য পাখির রয়েছে বিভিন্ন রকমের শারীরিক ও আচরণগত অভিযোজন ক্ষমতা, তা সে যত ঠান্ডাই পড়ুক না কেন।
শারীরিক অভিযোজন
- পালকঃ পাখির পালক শীতের বিরুদ্ধে দারুন একটা সুরক্ষা প্রদান করে থাকে, যা কিন্তু মানুষের নেই। কোন কোন প্রজাতির পাখির তো বাড়তি পালকও গজায় যাতে করে সেই সুরক্ষা কবচটা আরো মোটা হয়। আর পালকের গায়ের সাথে লেগে থাকা তেল বা চর্বি আরেকটু বেশি সুরক্ষা দেয় এবং ওয়াটার প্রুফিং-এর কাজটাও করে।
- পা ও পায়ের পাতাঃ শরীর থেকে যাতে তাপ বেরিয়ে যেতে না পারে সেজন্য পাখির পায়ে বিশেষ ধরণের আইশ থাকে। পাখি তার দেহের তুলনায় পা এবং পায়ের পাতার তাপমাত্রা আলাদাভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে আর এটি সে করে তার পা এবং পায়ের পাতার রক্তনালী সংকোচনের মাধ্যমে, যা তাকে আরো বেশি তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- চর্বি সঞ্চয়ঃ দেহে তাপ উৎপন্ন করার জন্য একটা ছোট্ট পাখিও তার দেহে চর্বি সঞ্চয় করে,এই চর্বি তার গায়ে জ্যাকেটের মতো কাজ করে তাকে ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
আচরণগত অভিযোজন
- পালক ফুলানোঃ অতিরিক্ত ঠান্ডায় বাড়তি insulation বা অন্তরক তৈরি করার জন্য পাখি তার পালক ফুলিয়ে air pockets বা বাতাসের পকেট তৈরি করে। আর বাতাস যেহেতু তাপ কুপরিবাহক তাই এতে পাখির দেহের তাপ দেহের বাইরে যেতে পারে না।
- গুঁজে দেয়াঃ আমরা মাঝে মধ্যেই দেখি পাখি তার একটা পায়ের উপর ভর করে দাড়িয়ে আছে আর আরেকটা পা পালকের ভেতর ঢুকিয়ে রেখেছে। আবার অনেক সময় দুই পা-ই পালকের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়ে গুটি-সুটি মেরে বসে থাকে। আবার এদেরকে নিশ্চই দেখেছেন ঠোঁট পালকের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখতে, সবই আসলে করে ঠান্ডা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য।
- রোদ-তাপানোঃ রৌদ্রজ্জ্বল শীতের দিনে সূর্যর দিকে পিঠ দিয়ে রোদ-তাপানোর সুযোগটা কিন্তু ওরা বেশ ভালভাবেই নেয়, আর এ সময় তারা তাদের পাখা এবং লেজকে একটু ছড়িয়ে দেয় যাতে করে পালকগুলো আর গায়ের চামড়া সূর্যর তাপে ভালোভাবে গরম হতে পারে।
- কাঁপুনিঃ পাখি তার দেহে বাড়তি তাপ উৎপন্ন করতে দেহে বিপাক ক্রিয়া বাড়ানোর জন্য দেহে কাঁপুনি দেয়। এটা অবশ্য সাময়িক একটা ব্যবস্থা, তবে খুব কার্যকরী।
আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।
Alhamdulillah, Kobutor nia shundor ekti article. Apnader moto doctor ra
jodi kobutor nia erokom aro beshi beshi article likhen, tahole
Bangladesh a kobutor palon desher orthonitite ek bishesh vumika rakhte
pare. Shathe shathe amader moto kobutor premiara kobutor nia onek gyan
orjon korte parbo.
Male pigeon & Female pigeon chinbo kivabe
ei nia ekti article likhle onek khushi hotam. Allah (SWT) ke onek
dhonnobad ebong apnakeo onek dhonnobad.
ধন্যবাদ, আপনারা নিয়মিত পড়লে আর মতামত দিলে অনুপ্রাণিত হই। তাই ধন্যবাদ আপনাকেও।
অনেক ধন্যবাদ, আপনার লেখা থে অনেক কিছু জানতে পারলাম
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
kobutor er salmonela & crimi, diptheria disease er name of medicine & use of medicine
Khgub vlo post
মাশাল্লাহ