ছোট্ট এই বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইলেক্ট্রোনিক এন্ড প্রিন্ট মিডিয়া । সেই সুবাধে সাংবাদিকতা পেশায় বাড়ছে মানুষের আগ্রহ । সাংবাদিক জীবনে অনেকেই সত্য, সুন্দর, ভালো খবর প্রকাশ করে যেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। টাকা নিয়ে সত্য খবরকে না ছাপানো, মিথ্যা সংবাদকে সত্য বলে চালিয়ে দেওয়া, প্রকৃত সংবাদ বিকৃত করে ছাপানোর রটনাও রয়েছে । কিছু সাংবাদিক খবর লিখার সময় সমতা রক্ষা করেনা। আবার কিছু কিছু সাংবাদিক আজকাল খবরকে তার নিজের মতকরে এমন ভাবে প্রচার করে যেগুলো কারোই কাম্য নয়। আমার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু ব্যতিক্রম বর্ণানা করছি মাত্র। আমি তাদেরকে ছোট করার জন্য বলছিনা। যদি কোন দিন সম্ভব হয় এগুলো থেকে উত্তোরন, সেই আশায় লিখছি।
১. ইদানিং খুবই লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে মেয়েদেরকে বেশি উপস্থাপন করা হয়। যেমন একটি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলো, সকল পত্রিকার প্রথম পাতায় মেয়েদের ছবি ছাপানো হয়। কোন একটি পাবলিক পরীক্ষা শুরু হলো পত্রিকার প্রধান শিরোনামের সাথে সুধু মাত্র মেয়েদের ছবি ছাপানো হয়। এমনকি আমি নিজে কিছু মিটিং এবং মানব বন্ধনে অংশ নিয়েছিলাম। সেখানে অসংখ্য পুরুষদের মাঝেও মাত্র ৩-৫ জন মহিলা থাকলেও পরের দিন পত্রিকায় সুধু তাদের ছবি আসল। আমি যে কথা গুলো এখানে লিখছি অনেকে হয়ত শুনার পর আমাকে নারী বিদ্দেশি মনে করতে পারেন। কিন্তু এটা কি ঠিক? আমরা সবাই বলছি নারী পুরুষের অধিকার সমান। যদিও ইসলামে নারীদের অধিকার পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি। তাহলে এখানে নারিদেরকে উপস্থাপন করার কারন কি? তাছাড়া এরকম চলতে থাকলে আমাদের পরবর্তি প্রজন্মের ছেলেদের মধ্যে এর বিরুপ প্রভাব পরতে পারে।
২. বৈজ্ঞানিক সমাজের কোন সভা হবে এর জন্য প্রচারনা প্রয়োজন । সাংবাদিকদের বললে, তাদেরকে টাকা না দিলে খবর তাদের হেড অফিসেই পাঠাবেনা। আবার সভা শেষে কোন ভোজের আয়োজন থাকলে তাদেরকে সবার আগে দাওয়াত খাওয়াতে হবে। না খাওয়ালে ভবিষ্যতে কোন বিষয়ে আর খবর করবেন না। কোন সাংবাদিক সম্মেলন করলে তারা আরো বেশি পেয়ে বসেন। এমন কিছু উদ্ভট প্রশ্ন করবেন মনে হয় যেন খুনের দায়ে কোন আসামীকে বিচক্ষন কোন উকিল জেরা করছেন।
৩. বর্তমানে বাংলাদেশে একটি সরকারী চাকুরি মানে একটি সোনার হরিণ পাওয়া এটি সবাই জানে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গবেষনা প্রতিষ্ঠান বা কোন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের মতামতকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। সেই সুবাদে নিয়োগ দেন তাদের ইচ্ছামত। কিন্তু সব নিয়োগে সমস্যা আছে, আসলে সেরকম না।
আর সাংবাদিকগণ পত্রিকায় লিখবেন তাদের মত করে । যেমন মেধার মূল্যায়ন করে চাকুরিতে নিয়োগ দিলে সাংবাদিকগন পত্রিকায় নেগেটিভলি লিখেন অমক দল করার পরেও তাকে চাকুরি দিয়েছে অমক প্রতিষ্ঠান। আর যদি বিশেষ কোন দলকে প্রাধান্য দেওয়া হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। পত্রিকায় লিখবে নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার মুল্যায়ন করলোনা অমক প্রতিষ্ঠান।
৪. আমার মতে খবরের হেডলাইন বা শিরোনাম হবে এরকম যেন শিরোনামটি পড়ে ঐ সংবাদটি সম্পর্কে প্রাথমিক একটি ধারনা পাওয়া যায়। অথচ বর্তমান সময়ে সাংবাদিকগন এমন কিছু শিরোনাম দেন যদি কেউ ভিতরের খবর না পরে তাহলে বুঝতেই পারবেন না যে হেডলাইন টি ছিল পুরোটাই উল্টো। হেডলাইনের সাথে ভিতরের খবেরের কোন মিল নেই।