এভলোসিন হচ্ছে দ্বিতীয় প্রজন্মের ম্যাক্রোলিন্ড এন্টিবায়োটিক টিলভ্যালোসিন নামক গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত । ইহা এভলোসিন সলুবল ও এভলোসিন এ এফজি ৫০ এই দুই নামে পাওয়া যায়।
উপাদানঃ এভলোসিন সলুবল –টিলভ্যালোসিন টারটারেট ৬২৫ মিলি গ্রাম/ গ্রাম
এভলোসিন এ এফজি ৫০ – টিলভ্যালোসিন টারটারেট ৬২৫ মিলি গ্রাম/গ্রাম
ব্যাবহার ক্ষেত্রঃ
v ক্রনিক রেস্পাইরেটরি ডিজিস (সি আর ডি) সৃষ্টিকারী মাইকোপ্লাজমা জীবানুর বিরুদ্ধে চিকিৎসা ও প্রতিরোধ গড়তে পোল্ট্রিতে এলভোসিন ব্যাবহৃত হয় ।
v এছাড়া কলোস্ট্রিডিয়াম জীবানু সৃষ্ট নেকক্রোটিক এন্টারাইটিস রোগের বিরুদ্ধেও বিশেষ কার্যকর ।
v টাইলোসিন সহ অন্যান্য এন্টিবায়োটিক রেজিন্সট্যান্স জনিত কারনে যেখানে অকা্র্যকর , এভলোসিন ব্যবহারে সে সব ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া যায় ।
সেবন মাত্রাঃ
এভলোসিন সলুবল-
চিকিৎসা ক্ষেত্রে- ২৫মিলি গ্রাম/কেজি দৈহিক ওজনে ( ১ গ্রাম প্রতি ৫ লিটার পানিতে)
পরপর ৩-৫ দিনের খাবারের পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায় ।
প্রতিরোধে – (প্রতি ১০০০ বাচ্চার জন্য) –
জন্মের প্রথম সপ্তাহে পানিতে দৈনিক ২ গ্রাম হারে ৩ দিন
জন্মের ৩য় সপ্তাহে পানিতে দৈনিক ৬ গ্রাম হারে ৩ দিন
এভলোসিন এফজি ৫০-
মাইকোপ্লাজমা পজেটিভ খামারে মুরগির সুস্থতা ও ডিম উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে ১০০-২০০ গ্রাম প্রতি ১০০ কেজি খাদ্যে মিশিয়ে পরপর ৭ দিন খাওয়াতে হবে। স্ট্রেস পিরিয়ডে ( যেমন-আবহাওয়া পরিবর্তন, টিকা প্রদান ইত্যাদি) এভাবে প্রতিমাসে একবার কোর্স করাতে হবে ।
এভলোসিন ব্যবহারের সুবিধাসমুহঃ
- সকল বয়সের লেয়ার ,ব্রয়লার ,ককরেল ও ব্রীডার মুরগিতে ব্যবহারযোগ্য ।
- পোল্ট্রির সি আর ডি’র চিকিৎসায় মাইকোপ্লাজমার সকল স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে সর্বাধিক কার্যকর ।
- সেবনের ১(এক) ঘন্টার মধ্যেই টার্গেট অঙ্গে সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌছে জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকারিতা শুরু হয় ।
- মুরগির দেহের রোগ প্রতিরোধ সৃষ্টিকারী কোষসমুহকে উদ্দীপ্ত করে জীবানুর বিরুদ্ধে দ্বৈত প্রতিরোধ গড়ে তোলে ।
- অন্যান্য এন্টিবায়োটিকের তুলনায় এভলোসিন ন্যূনতম কার্যকারী বিধায় মুরগির চিকিৎ্সা ব্যয় কম হয় ।
- জীবানুর সংক্রমনে মুরগির শ্বাসতন্ত্রে সৃষ্ট প্রদাহ জনিত রোগ জটিলতা প্রশমনে সহায়তা করে ।
- এভলোসিন সুস্বাদু বিধায় খাবারে বা পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করলে মুরগির রুচির উপর কোন প্রভাব ফেলে না ।
- এভলোসিনের সঙ্গে সিটিসি ব্যবহার করলে ঔষধের কার্যকারীতা বৃদ্ধি পায় ।
- মুরগির ঠান্ডাজনিত যেকোন রোগের চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিকের পাশাপাশি মেন্টোফিন ( একটি প্রাকৃতিক শ্লেষ্মারোচক) ব্যবহার করলে শ্বাসতন্ত্রে জমে থাকা শ্লেষ্মা তরল হয়ে বের হয়ে যায় এবং মুরগি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে ।
ম্যানুফেকচারী প্রতিষ্ঠানঃ
ইকো এনিম্যাল হেলথ লিমিটেড
৭৮ কম্বে রোড, নিউ ম্যাল্ডেন
সুরেই কেটি৪কিউএস, যুক্তরাজ্য ।
web site : www.ecoanimalhealth.com
বাংলাদেশী ডিস্ট্রিবিউটরঃ
বাড়ি নং-০১,রোড নং-১০/এ
নিকুঞ্জ ০১( দক্ষিণ)
ঢাকা-১২২৯
web site -http//www.dwcrop.net/algaegroup
স্যার এভলোসিন সলুবল –টিলভ্যালোসিন টারটারেট ৬২৫ মিলি গ্রাম/ গ্রাম এ ঔশুধ খাওয়ালে ভ্যাকসিন করা লাগবে না?