পোল্ট্রি সায়েন্স ক্লাশে ম্যাডামের কাছে প্রথম জেনেছিলাম হাঁস-মুরগি ছাড়াই বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে এক সাথে হাজার হাজার ডিম ফুটান যায়।সে ক্লাশেই জেনেছিলাম বাচ্চা ফুটানর এই যন্ত্রের নাম ইনকিউবেটর, শিখেছিলাম ইনকিউবেটরে ডিম ফুটে বাচ্চা হওয়ার মুলনীতি। এর বাইরেও শিখেছিলাম পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ব্যবহৃত ডিম ফুটানোর কিছু আঞ্চলিক পদ্ধতি সম্পর্কে। চীন, বালি, ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী তুষ বা বালির সাহায্যে ডিম ফুটানর বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহূত হচ্ছে আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্ছলে তাও সেদিনই প্রথম শুনেছিলাম। তুষ বা বালির সাহায্যে ডিম ফুটানোর এ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এতে বিশেষ কোন দামি উপকরনের প্রয়োজন হয় না বিধায় খরচও বেশ কম তাতেই উৎসাহিত হয়েছিলাম বিষয়টি হাতে কলমে শিখে নেয়ার। সুযোগ হয়নি পার হয়েছে শিক্ষা জীবন।কিছু দিন আগে আমার কর্ম এলাকায় এক খামারির বাড়ীতে এই পদ্ধতিতে ডিম ফুটানো হয় জেনে দেখে আসি পুরো প্রকল্পটি এবং মিলিয়ে নেই তত্ত্বীয় জ্ঞানের সাথে।আসলেই সত্য কম খরচে বিশেষ কোন উপকরণ ছাড়াই খুব সহজে একসাথে অনেক ডিম ফুটানো যায়, গড়ে তুলা যায় মাঝারি আকারের বানিজ্যক হ্যাচারী।প্রকল্পটি নিজ চোখে দেখা আর খামার মালিকের সাথে কথা বলার আলোকে বিষটি তুলে ধরার প্রয়াস করছি।
এই প্রকল্প শুরু করতে উপকরন হিসাবে লাগবে-বাঁশের তৈরি সিলিন্ডার আক্রিতির পাত্র(কাঠ ও টিন দিয়েও এই বিশেষ পাত্র তৈরি করা যায়), ধানের তুষ, তুষের বালিশ,রঙিন কাপড়সহ আনুষঙ্গিক কিছু উপকরণ। পুরো পদ্ধতিটি সাধারন ভাবে নিচে ব্যখ্যা করা হলঃ
- ডিম সংগ্রহের পর ফুটানোর উপযোগি ডিম বাছাই করে আলাদা করা হয়। অনুর্বর, ভাঙ্গা-ফাটা, স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট বা বড় আকৃতি্র ডিম ফুটানোর জন্য অনুপযোগি।
- প্রথম দিন বাছাই করা সব ডিম ৩০-৪০টি করে কয়েক ভাগে ভাগ করে নাম্বার দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।
- ডিমের তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য প্রতি ভাগ এক একটি কালো কাপড়ে তুলে রোদে শুকানো হয় ।সাধারনত ২৫-৩০মিনিট রোদ্রে শুকিয়ে এর তাপমাত্রা ৩৭-৩৮০ সেন্টিগ্রেট এ নেওয়া হয়।উত্তপ্ত বালি বা কাঠের ছাই দিয়েও ডিমকে গরম করা যায়।তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ক্লিনিক্যাল থার্মমিটারই যথেষ্ট। ডিমের গায়ে পানির ছোট ছোট ফোটা দেখেও অনেক সময় তাপমাত্রা নিরধারণ করতে পারেন অনেক অভিজ্ঞ খামারি।
- এরপর গরম ডিম গুলো কালো কাপড়ে ভরে সিলিন্ডারের ভেতরে এমন ভাবে সাজানো হয় যাতে সবার নিছে তুষের বালিশ তার উপর একের পর এক ডিমের থলি ও বালিশ থাকে।বাশের সিলিন্ডারটি বসানো থাকে চার কনা আকৃতির বড় গর্তের মধ্যে যাতে সিলিন্ডার ও গর্তের দেয়ালের মাঝখানে ৮-১০ সে.মি পুরু তুষ থাকে।
- প্রথম ৩ দিন দিনে ৩ বার, পরের ৪-৬ দিন দিনে ২ বার উপরের ডিম নিচে আর নিচের ডিম উপরে রেখে উল্টেপাল্টে দেওয়া হয়। প্রতিবার তুশের বালিশ গরম করে নেওয়া হয় যাতে এমব্রায়ো তৈরির অত্যানকুল তাপমাত্রা বোঝায় থাকে।
- পর্যায়ক্রমে এই প্রক্রিয়া ১৩-১৪ দিন ধরে চলে। তারপর ডিম পরীক্ষা করে মৃত ডিম ফেলে দিয়ে বাকি ডিম তুষের বিছানায় সাজিয়ে হালকা কাপড়ে ১১ দিন ঢেকে রাখা হয়। ১২ দিনের মাথায় একের পর এক ডিম ফুটে ছানা বেরোতে থাকে। এভাবে হাঁসের ডিম ফোটাতে ২৮ দিন সময় লাগে।
স্থানীয় এই আধা-বানিজিক হ্যাচারিতে মা হাঁসের সংখা ১০৫০। উৎপাদিত ডিম থেকে যে বাচ্চা ফুটানো হয় তার বাজারও স্থানীয়।
Dear Brother,
Instead of Duck, can I use the system for Pigeon? As well as I want to learn this system practically. Can you help me?
Thanks,
Bashir Uzzaman Suzan
Cell: 01712015537, 01671601830
Dear Sir,
Many thanks for nice posting. Southern part of Bangladesh ( Kotalipara upazila in Gopalgonj dist.) this area get natural opportunity for duck rearing. As low and marshy land ( Most of 7-8 month in a year) we are trying to develop small entrepreneurs of duck hatchery at family level or small group that will be sustainable for poor and ultra poor. I nee your technical assistant and need more docs. I hope you don’t discourage to me.
Thanks
Md. Rafiqul Islam
Project Officer- Agriculture
World Vision Bangladesh
Kotalipara, Gopalgonj.
01755-618278
Dear Brother,
In case of quail will this process okay? or if not could please suggest me what kind of procedure that i have to follow in case of quail rearing..
I am eagerly waiting for your replay…