ডিমের খোসার গুণাগুণ অনেকগুলো কারনে প্রভাবিত হতে পারে তবে তার বেশিরভাগই ডিম পাড়ার আগের কারন। ডিমের খোসার পুরুত্ব নির্ভর করে ডিমটা কতক্ষণ shell gland (uterus) এর ভেতর থাকে এবং খোসার গঠনের সময় ক্যালসিয়াম জমা হওয়ার হারের উপর। যদি ইউটেরাসে কম সময় থাকে তবে খোসা পাতলা হবে। এমনকি দিনের কোন সময় ডিমটা পাড়া হলো তার উপরও খোসার পুরুত্ব নির্ভর করে। মোটা দাগে বলতে গেলে, দিনের যতটা আগের ভাগে ডিম পাড়া হবে ততই খোসা পুরু হবার সম্ভাবনা বাড়বে। যাই হোক চলুন দেখি আরো কি কি ফ্যাক্টর ডিমের খোসার গুণাগুণ নির্ভর করেঃ
১। স্ট্রেইন বা জাতঃ কিছু জাত আছে যাদের ক্যালসিয়াম diposite এর হার বেশি, ফলে বেশি পরিমান ক্যালসিয়াম তারা জমা করতে পারে। তবে দেখা গেছে, তুলনামূলকভাবে হালকা বাদামী রঙের ডিমের চেয়ে গাঢ় বাদামী রঙের ডিমের খোসার quality ভালো হয়ে থাকে।
২। রোগ-ব্যাধিঃ কিছু কিছু রোগ যেমন infectious bronchitis (IB), Newcastle disease (ND), avian influenza (AI) এবং egg drop syndrome (EDS) ডিমের খোসার গুণগত মানের উপর প্রভাব ফেলে। IB ভাইরাসের কারনে নরম বা খসখসে খোসার ডিম, ত্রুটিযুক্ত রং-এর ডিম এবং কুচকানো খোসার ডিম হয়ে থাকে। EDS ভাইরাস কেবল shell gland এর উপর প্রভাব ফেলে কিন্তু রাণিক্ষেত বা ইনফেকসাস ব্রংকাইটিস এর কারনে পুরো reproductive tract-ই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
৩। ব্যবস্থাপনাঃ দূর্বল খামার ব্যবস্থাপনা, উচ্চ পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা ডিমের খোসার মানের ইপর প্রভাব ফেলে। যেহেতু বড় ডিমের খোসা ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা একটু বেশি থাকে, সেহেতু ডিমের আকার ঠিক রাখতে সঠিক পুষ্টি আর লাইট ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দিতে হবে।
উন্নত বিশ্বের খামারে ৩দিন আলো আর ১দিন অন্ধকার, এই আলোক কর্মসূচী মেইটেইন করা হয় এবং জানা যায় ১৬ ঘন্টা আলো আর ৮ঘন্টা অন্ধকার, এই আলোক কর্মসূচীর চেয়ে তাতে ডিমের খোসা অনেক পুরু হয়। কিন্তু তা তো আর আমাদের দেশে সম্ভব নয়!
৪। Moulting বা পালক ঝড়ানো: বয়স্ক মুরগিতে “forced” বা “induced” moulting করালে ডিমের খোসার মান বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক moulting হওয়ার পর ডিমের specific gravity, shell weight, shell thickness moulting হওয়ার আগে যেমন ছিল সেরকমই হয়ে যায় বা তারচেয়ে ভালো হতেও দেখা গেছে। তবে induced moulting-এর ক্ষেত্রে সব স্ট্রেইনের মুরগিতেই খোসার মান উন্নত হয়।
৫। মুরগির বয়সঃ যত বয়স বাড়তে থাকে খোসার মান ততই কমতে থাকে। বয়স্ক মুরগি বড় ডিম পাড়ে আর তা সহজেই ভেঙে যায়। জীনগতভাবে মুরগি ডিমের খোসায় একটি নির্দিষ্ট পরিমান ক্যালসিয়াম জমা করতে পারে। বয়স বাড়তে থাকলে হাড় থেকে ক্যালসিয়াম mobilize করার ক্ষমতা হারাতে থাকে এবং প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট উৎপাদনের ক্ষমতাও কমে আসে। বয়স ৪০ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে ক্যালসিয়াম absorption ও mobilization স্বাভাবিকের চেয়ে ৫০ শতাংশ কমে যায়।
৬। ঔষধপত্রঃ যেমন সালফা ড্রাগস খোসার মান খারাপ করে দেয় পক্ষান্তরে tetracyclines এর কিছু উপকারি প্রভাব আছে।
৭। ধকলঃ যদিও বংশগতির প্রবণতা ডিম ও ডিমের খোসার গুণগত মানে প্রভাব ফেলে, তারপরও পরিবেশগত থকলের কারণে ভাল জীন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। Oviduct আর জরায়ুর কোষগুলির যুগপদ ক্রিয়ার ফলে ডিমের খোসা তৈরি হয়ে থাকে। ধকলের কারণে এ কোষগুলি এসিডিক হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। ধকলের মাত্রা যখন চরমে পৌঁছায় তখন খোসার উপর অতিরিক্ত পরিমান ক্যালসিয়াম জমা হতে থাকে যা খোসার বাইরের পাউডার সদৃশ চূর্ণ জমা করে। আর এভাবেই বিকৃত ডিম তৈরি হয়। মুরগিকে স্থানান্তর জনিত কারনেও ডিমের খোসার উপর প্রভাব পড়ে; অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের কোটিং-এর ফলে চেকযুক্ত (checked) ডিম পাড়ে।
৮। পরিবেশগত তাপমাত্রাঃ খোসার মান খারাপ হওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো পরিবেশেরে উষ্ণতা বা heat stress যার কারণে খাদ্য গ্রহণের পরিমান কমে যায়। যখন আবহাওয়ার তাপমাত্রা বেড়ে যায় তখন মুরগি panting করার মাধ্যমে নিজেকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করে। এতে রক্তে CO2 এর মাত্রা কমে যায় যাকে বলে “respiratory alkalosis”। রক্তের pH বেড়ে গিয়ে রক্ত ক্ষারিয় হয়ে যায় এবং খোসার জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়ামের পরিমান কমে যায়। এই acid-base balance এর সমন্বয়হীনতার অভাবে গ্রীষ্মকালে নরম খোসার ডিম তৈরি হয়।
সাধারণত তাপমাত্রা ২৫০ সে. এর বেশি হলেই মুরগি খাদ্য গ্রহণের পরিমান কমিয়ে দেয় এবং এর ফলে অস্থায়ীভাবে খোসা পাতলা হওয়ার যে প্রবণতা দেখা দেয় তা পরিবেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলেই আবার খাদ্য গহণ স্বাভাবিক হওয়ার মাধ্যমে ঠিক হয়ে যায়।
Respiratory alkalosis হওয়ার ফলে কিডনী দিয়ে কার্বোনেট আয়ন বেরিয়ে যাওয়ার পরিমান বেড়ে যায়। এতে কিডনী আর জরায়ুর মধ্যে কার্বোনেট আয়নের জন্য প্রতিযোগীতা বেড়ে যায় ফলে অব্যহতভাবে ডিমের খোসা পাতলা হতে থাকে। heat stress চলাকালে খাদ্য গ্রহণ কমে যায় বলে ক্যালসিয়াম গ্রহণও কমে যায় এবং এটা bone resorption-কে stimulate দেয়, ফলে hyperphosphatemia দেখা দেয়। এতে shell gland-এ ক্যালসিয়াম কার্বোনেট তৈরিতে বাধা পড়ে। Heat stress জরায়ুতে carbonic anhydrase (Zinc dependent enzyme) এর কারর্যকারিতাও কমিয়ে দেয়। এদিকে heat stress এর সময় প্রচুর পরিমান রক্ত দেহের peripheral tissue-গুলির দিকে ধাবিত হয় ফলে জরায়ুতে বিশেষতঃ oviduct-এ রক্তের পরিমান কমে যায় বলে খোসার মান খারাপ হতে থাকে। সবশেষে লেয়ার মুরগি vitamin D3 –কে এর কার্যকরি অবস্থায় রুপান্তরের ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে।
৯। পুষ্টিঃ ডিম পাড়া কালীন সময়ে ক্যালসিয়াম মেটাবলিজমের জন্য ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন D3 আর হনমোন-এর একটি জটিল সম্পর্ক রয়েছে। ডিম উৎপাদন আর খোসার গুণগত মান সঠিক রাখতে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের ভারসাম্য বজায় থাকাটা অত্যন্ত জরুরী। তাই ডিম পাড়া মুরগির খাদ্যে ক্যালসিয়াম আর ফসফরাসের পরিমান অবশ্যই সঠিক মাত্রায় রাখতে হবে (সাধারণত ক্যালসিয়াম ৩.৫-৪% এবং ফসফরাস ০.৩৫-০.৪%)।
পড়ুনঃ ডিমের কোন অংশের কি পুষ্টিমান
(ক) ক্যালসিয়ামঃ ক্যালসিয়ামের মাত্রারিক্ত বা ঘাটতি হলে ডিমের খোসার ক্ষেত্রে ঋণাত্মক প্রভাব পড়ে। একটি ডিমে সাধারনত ২ গ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। তাই প্রতিদিন মুরগিকে ভালো মানের খোসাযুক্ত ডিম পাড়তে গেলে দৈনিক গড়ে ৪ গ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে হবে। কেননা, dietary calcium এর ৫০-৬০% -ই কেবল মাত্র খোসা উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ডিম না পাড়া মুরগির চেয়ে ডিম পাড়া মুরগিতে ৪-৬ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। oviposition এর ১৯ ঘণ্টা পূর্বে ডিম shell-gland region-এ প্রবেশ করে। খোসা তৈরির শেষ ১৫ ঘণ্টায় shell-gland থেকে ক্যালসিয়াম movement এর হার ১০০-১৫০ মি:গ্রা:/ঘণ্টায় পৌঁছায়। এই প্রক্রিয়ায় ক্যালসিয়াম ২ টি উপায়ে আহরিত হয়ে থাকে: খাদ্য এবং হাড়। ৩.৫৬% ভাগ বা তার উপরে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করলে রক্তের স্বাভাবিক ক্যালসিয়াম লেভেল থাকে ২০-৩০ মি:গ্রা:। আর যদি খাদ্যে ২% ক্যালসিয়াম থাকে তবে ৩০-৪০% ক্যালসিয়াম হাড় থেকে শোষণ করে। আর এ জন্যই পুলেট অবস্থায় এবং ডিম পাড়া শুরু করার পূর্বে দেহে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম জমা থাকতে হবে।
Shell-gland inactive থাকা অবস্থায় intestine থেকে ক্যালসিয়াম শোষণ হয় প্রায় ৪০% এবং active অবস্থায় তা ৭২% পর্যন্ত পৌঁছায়। এটা মূলতঃ বিকেলের শেষ ভাগে অথবা অন্ধকার সময়ে ঘটে থাকে। এ জন্য এই সময়টাতে খাদ্যের সাথে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম থাকতে হবে। Large particle sizes of calcium sources allow calcium to be metered throughout this time.
গ্রোয়িং পিরিয়ডে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম gut pH বাড়িয়ে parathyroid gland এর সঠিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। এটা দীর্ঘস্থায়ী হলে parathyroid gland স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে মুরগির laying cycle প্রভাব পড়বে।
খ) ফসফরাসঃ ডিমের খোসায় ফসফরাসের পরিমান কম থাকে (২০ মি:গ্রা:), পক্ষান্তরে ডিমের অন্য উপাদানের ভেতর থাকে ১২০ মি:গ্রা:। রক্তে উচ্চমাত্রায় ফসফরাস থাকলে তা হাড় থেকে ক্যালসিয়াম mobilization-এ বাধা প্রদান করে। ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণ একে অন্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত,যা নিম্নোক্ত কারনে প্রভাবিত হতে পারে।
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের উৎস ও তাদের আকৃতিঃ ক্যালসিয়ামের উৎস এবং এর আকৃতির উপর ক্যালসিয়াম লেভেল নির্ভর করে। ফসফরাসকে লেয়ার মুরগি কর্তৃক শোষণ ও ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় থাকতে হবে।
আন্ত্রিক pH: ৫.৫-৬.০ pH-এ ফসফরাস শোষণ সবচেয়ে ভালো হয়। আর যখন পিএইচ ৬.৫ এর উপরে উঠে যায় তখন ফসফরাস শোষণ অনেক কমে যায়। আবার খাদ্যে অধিক পরিমানে ফ্রি ফ্যাটি এসিড থাকলে তা পিএইচ কমে যায়, এতেও ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ ব্যহত হয়।
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের অনুপাতঃ intestine-এ ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের আধিক্য হলে এ দুটোরই শোষণ কমে যায়। ক্যালসিয়াম বেশি হলে অন্ত্রের পিএইচ বেড়ে যায় এবং এতে ফসফরাসসহ জিংক এবং ম্যাঙ্গানিজ-এর শোষণ কমে যায়। আবার রক্তরসে ফসফরাস বেড়ে গেলে অন্ত্র থেকে ক্যালসিয়ামের শোষণ কমে যায় এবং হাড় থেকেও ক্যালসিয়ামের mobilization কমে যায়। growing birds-এর জন্য ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের সঠিক অনুপাতটি হলো ১.৫-২.০:১.০।
Vitamin D3 : ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য Vitamin D3 metabolite অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ডিমের খোসা তৈরির সময় ক্যালসিয়াম absorption এবং mobilization এর জন্য Vitamin D3 অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে তা বেশি হলে যে ডিমের খোসার পক্ষে কোন লাভ বয়ে আনবে তা নয়। calcium-binding protein (CBP) তৈরির মাধ্যমে ভিটামিন ডি৩ intestine থেকে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। ভিটামিন ডি৩-এর কাজ নির্ভর করে এর metabolite 1.25 dihydroxy D3 এর উপর, যা তৈরি হয় লিভার আর কিডনীতে। তাই যখন এসব অঙ্গ আর parathyroid gland-এর কোন সমস্যা হয় তখন vitamin D3-এর কার্যক্রমেও ব্যাঘাত ঘটে। ফলশ্রুতিতে ক্যালসিয়াম absorption এবং metabolism-এও ব্যাঘাত ঘটে।
খাদ্যের ফর্মুলেশন: খাবারে ফাইটেজ এনজাইমের উপস্থিতি খোসার মান উন্নয়নে সহায়তা করে। তবে মনে রাখতে হবে, খাদ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ও ফাইটেট থাকলে তা trace minerals, বিশেষতঃ ম্যংগানিজ ও জিংক এর availability কমিয়ে দেয়। এছাড়া খাদ্যে non starch polysaccharides, mycotoxins এবং contaminantion থাকলে তাতেও খোসার গুনগত মান কমে যায়।
তথ্যসূত্রঃ 1) Maintaining egg shell quality by DrnLokesh Gupta, Regional Technucal Manager, Avitech
2) Research on eggshell structure and quality by P Hunton, World Poultry Science Association
3) Eggshell defects and dietary essentials, Neospark.
A good article. Thanks.
More emphasis could be given on particle size of feed and period of calcium supplementation.
আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, স্যার। আপনার উল্লেখিত বিষয়ে একটি বিস্তারিত আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। আমরা সবাই অনেক উপকৃত হবো।
excellent writing
আচ্ছালামুয়ালাইকুম, আমি খামার বিষয়ে একেবারেই নতুন, তাই trial হিসেবে পাশের
একটি খামার থেকে ২০টি লেয়ার মুরগী (brown) কিনেছি প্রায় ১ মাস আগে, মুরগীর
বয়স এখন আনুমানিক ১০ থেকে ১২ মাস। বাশের মাচার উপরে, ডিম পাড়ার জন্য ৫ টি
কাঠের বক্স তৈরি করে দিয়েছি, মুরগী দেখে সুস্থই মনে হচ্ছে, মাঝে একটু
ঠাণ্ডা ছিল এখন নেই, খাবার ঠিকই খাচ্ছে। তো এই একমাস ধরে কোন দিন ১০/১২ টির
বেশি ডিম দেয়নি, এবং এর ভিতরে ২/৩ টি খোসা ছাড়া, ৩/৪ টি পাতলা খোসা এবং
বিভিন্ন রংয়ের। ভেবে ছিলাম একটু বড় পরিসরে খামার করতে কিন্তু এখনতো ভয়
পাচ্ছি।
যাইহোক এ অবস্থায় ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি এবং এই জটিলতা থেকে সমাধানের জন্য সরাসরি কোন (DRUG) ঔষধ আছে কি? Please help me.