“মাইকোপ্লাজমা প্রতিরোধে টিয়ামুলিন হাইড্রোজেন ফিউমারেট-ই সেরা” ভেটসবিডি পরিচালিত অনলাইন পাঠক জরিপে এই ফলাফল উঠে এসেছে।
পুরো আগষ্ট মাস জুড়ে পরিচালিত এই জরিপে দেখা যাচ্ছে বেশির ভাগ পাঠক মনে করেন মাইকোপ্লাজমা প্রতিরোধে টিয়ামুলিন হাইড্রোজেন ফিউমারেট-ই সেরা। পাঠবগণ দ্বিতীয় সেরা হিসেবে যেটাকে পছন্দ করেছেন নেটা হলো টাইলোসিন টারট্রেট ।
মোট ভোটারের ৬১% টিয়ামুলিন হাইড্রোজেন ফিউমারেট এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর ২৫% ভোট দিয়েছেন টাইলোসিন টারট্রেট এর পক্ষে। জরিপে অংশ গ্রহণ করেছেন মোট ৩৬ জন।
পোল্ট্রিতে মাইকোপ্লাজমা একটি নিরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। ক্লিনিকেল বা সাব-ক্লিনিকেল উভয় প্রকারেই রোগটিকে দেখা যায় এবং এ রোগটির যথেষ্ট অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। যদি ক্লিনিকেল পর্যায়ে রোগটি দেখা যায় তবে তা পোল্ট্রির প্রভুত ক্ষতি সাধন করে থাকে। খাদ্য ও পানি গ্রহণের মাত্রা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেতে পারে। ফলে ডিম ও মাংসের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।
আর সাব-ক্লিনিকেল পর্যায়ে তেমন কোন বাহ্যিক লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও অব্যাহতভাবে প্রায় ২% পর্যন্ত ডিম উৎপাদন হ্রাস পেতে দেখা গেছে। এছাড়া ধীরে ধীরে দেহের ওজন হ্রাস পেতে থাকে।
এই রোগের জীবাণু প্রায় সর্বদাই মুরহির দেহে অবস্থান করে, কিন্তু সবসময় রোগ তৈরি করে না। মুরগি কোনরুপ ধকলে পড়লে এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। চিকিৎসা বা প্রতিরোধ উভয় ক্ষেত্রেই খরচ যথেষ্ট বেশি। আর তাই সঠিক ড্রাগটি চয়েজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনলাইন পাঠক জরিপ-সেপ্টেম্বর এর প্রশ্নঃ আপনি কি মনে করেন শুধু বায়োসিকিউরিটি বা জীবনিরাপত্তা রক্ষা করেই আমাদের দেশে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধ করা সম্ভব? ভোট দিয়েছেন তো?