Sangrovit®, পোল্ট্রির নেক্রোটিক এন্টেরাইটিস নিয়ন্ত্রণের একটি কার্যকরী উপায় [পর্ব-২]

প্রথম পর্বটি পড়তে এখানে ক্লিক করুনপ্রথম পর্ব প্রকাশের পর আপনাদের যথেষ্ট সাড়া পেয়ে আমি বেশ অনুপ্রাণিত। তাই আজ দ্বিতীয় পর্ব লিখতে বসে গেলাম। কেমন লাগছে জানালে খুশি হব। আর কোন বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে তাও জানাতে পারেন, যদি আমি পারি তো উত্তর দেবার চেষ্টা করবো।


গত পর্বে আপনারা দেখেছেন, নেক্রোটিক এন্টেরাইটিসের কি কারণ, কাদের কাদের এ রোগ হয়, কিই বা তার লক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে। আজ আপনাদের জন্য আরো নতুন কিছু বিষয় উপস্থাপন করলাম, আসুন দেখি-

Pathogenesis and predisposing factors

মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, খাবারে কোন প্রতিরোধকারী উপাদান না থাকলে শরীরে এমনিতেই বেশ কিছু পরিমান রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু থাকে যা সাবক্লিনিক্যাল পর্যায়ের রোগ তৈরি থাকে। ধারণা করা হয়, কক্সিডিয়াল ইনফেকশন প্রায়শই এমন একটি ফ্যাকটর যা রোগ সৃষ্টিতে প্রাথমিক ভূমিকা পালন করে থাকে। এরা মুরগির পরিপাকতন্ত্র সম্পর্কে জানুনপরিপাকতন্ত্রের টিস্যুতে প্রবেশ করে তা ধ্বংস করতে থাকে যা পরবর্তীতে অন্যান্য জীবাণুর establishment-এ সাহায্য করে যেমন Clostridium perfringens। যদিও নেক্রোটিক এন্টেরাইটিস কক্সিডিয়া না থাকলেও হতে পারে।

মলিক্যুলার লেভেলে ভাবলে, Ciostridium perfringens কর্তৃক আলফা টক্সিন উৎপাদনে এক বা একাধিক ফ্যাকটর প্রয়োজন। যখন ব্যকটেরিয়াগুলি পর্যাপ্ত টক্সিন উৎপন্ন করে তখনই তা টিস্যুর নেক্রোসিস শুরু করে দেয় এবং Clostridium perfringens এর বংশবৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং আরো টিস্যু নেক্রোসিসে ভূমিকা রাখে। লিভারে কি ধরনের ক্ষতি হয় তা খুব একটা বোঝা যায় না। ব্যাকটেরিয়া আর টক্সিন উভয়ই রক্তের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মিউকোসা দ্বারা লিভারে পৌঁছায়। এভাবেই সংক্রমণ পিত্ত রসের দ্বারা আরো ছড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে লিভারের ইনফ্লামেশন প্রসেস বাইল বা পিত্তরসের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে দেয়। ফলে পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করে।

Pathology

ক্ষুদ্রান্তের মিউকোসাতেই এ রোগের নিশ্চিতকারী লক্ষণ পাওয়া যায়। মৃদু সংকমণে মিউকোসাতে খুব ক্ষুদ্র যা প্রায়শই খালি চোখে দেখা যায় না এমন ক্ষত বা হালকা হলুদ বর্ণের দাগ দেখা যায়। আর এরকম প্রায় সমস্ত অন্ত্র জুড়েই দেখা যায়। তীব্র সংক্রমণে মিউকোসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যা খালি চোখেই দেখা যায়।

Immunity

পোল্ট্রি বিভাগের সবগুলো আর্টিকেল পড়ুনপোল্ট্রিতে Clostridium perfringens ইনফেকশনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে কয়েকটি গবেষনা প্রকাশিত হয়েছে। এসব গবেষণায় দেখা যায়, Day-old ব্রয়লার বাচ্চাতে মেটারনাল এন্টিবডির পরিমান বেশ পরিবর্তনশীল এবং এটি প্যারেন্ট স্টক দ্বারা প্রভাবিত হয়। এই মেটারনাল এন্টিবডির পরিমান প্যারেন্টে ভ্যাক্সিনেশনের মাধ্যমে বাড়ানো সম্ভব।

আজ এ পর্যন্তই। আগামী পর্বে Diagnosis সহ আরো নতুন নতুন পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন।

লেখকঃ মাহবুব হোসেন

Business Development Manager; Bangladesh Intigrated AgriNutrition- AD; 7/B·A-1 New Eskaton Road Gausnagar, 6th floor, Dhaka 1000, Bangladesh Cell: +8801711 563700 Tell: +8802-912 0071 Fax: +8802-912 8800 E-mail: ianad@dhaka.net Web: www.phytobiotics.com

এটাও দেখতে পারেন

মুরগির লিভারের রোগ: লিম্ফয়েড লিউকোসিস

লিম্ফয়েড লিউকোসিস মুরগীর টিউমার সৃষ্টিকারী ভাইরাস রোগ। এ রোগের ক্ষেএে টিউমার সৃষ্টি হয় এবং রেট্রো …

২ মন্তব্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.