বাংলাদেশে ভেটেরিনারির বর্তমান অবস্থা নিম্নের লেখা পড়লে বোঝা যায় । ভাবতে অবাক লাগে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন যেখানে ডিভিএম ডিগ্রি ধারিদের ১ম শ্রেনীর মর্যাদা দেয়, সেখানে পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয় কিভাবে ২য় শ্রেনীর পদের জন্য আবেদন পত্র আহবান করে । এ জন্য কিছু তথ্য উপস্থাপন করলাম——————————————
সূত্রঃ ১– গত ১২/০২/২০০৪ ইং তারিখ নং পবম/পরিশা-৩/পদসৃষ্টি/দুলহাজারা/২০০৩-০৪/৩৮ পত্রমূলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক ,কক্সবাজার এ ”ডি ভি এম ” ডিগ্রী পাশ রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান কে- ”ভেটেরিনারি সার্জন ” পদে ( প্রদত্ত গ্রেড-৯ম ) প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় । বর্তমানে এই পদটি রাজস্ব খাতে গিয়েছে ।
সুত্রঃ ২ — গত ২৯/১১/২০০৫ ইং তারিখ নং পবম/পরিশা-২/পদসৃষ্টি/দুলহাজারা/২০০৩-০৪/ পত্রমূলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক ,কক্সবাজার এ ” ডি ভি এম ” ডিগ্রী পাশ রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান কে- ” সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন ” পদে ( প্রদত্ত গ্রেড-১০’ম ) ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় । বর্তমানে এই পদটি রাজস্ব খাতে গিয়েছে ।
সুত্রঃ ৩ — গত ১৯/১০/২০১০ ইং তারিখ নং পবম/পরিশা-২/২১৫/জনবল/২০১০/২৩৯ নং পত্রমূলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক ,গাজীপুর শীর্ষক প্রকল্পে এ ” ডি ভি এম ” ডিগ্রী পাশ রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান কে- ” সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন ” পদে ( প্রদত্ত গ্রেড-৯ম ) প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ।
সুত্রঃ ৪– গত ১৫/০৪/২০১২ ইং তারিখ ”Strengthening Regional Co-operation for Wildlife Protect ” প্রকল্পে এ ” ডি ভি এম ” ডিগ্রী পাশ রেজিস্টার্ড ৫ জন ভেটেরিনারিয়ান কে– ” ভেটেরিনারি সার্জন ( ১জন, প্রদত্ত গ্রেড-৮ম ) ” , সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন ( ৩ জন, প্রদত্ত গ্রেড-৯ম ) ” ও এপিডেমিওলজিস্ট ( ১ জন, প্রদত্ত গ্রেড-৯ম ) পদে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ।
পূণশ্চঃ
গত ০১/০৭/১২ ইং তারিখে কালের কন্ঠে প্রকাশিত পরিবেশ ও বন মন্ত্রানালয় এর আওতায় বন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো-পার্ক,রাঙ্গুনিয়া,,চট্রগ্রাম শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ২’য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে , সহকারী পশু চিকিৎসক পদে ” ডি ভি এম ” ডিগ্রী পাশ রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান দের কাছ থেকে আবেদন পত্র আহবান করেছেন ।
পদের নাম- সহকারী পশু চিকিৎসক
প্রদত্ত গ্রেড – ১০ম
শ্রেণী- ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা
(বিঃ দ্রঃ- প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২’য় শ্রেণীর পদমর্যাদায় অন্যান্য ডিসিপ্লিন হতে ডিপ্লোমা পাশ ধারী নাগরিকদের নিকট হতে আবেদন পত্র আহবান করেছেন …।। )
DVM (Doctor of Veterinary Medicne) —–ইহা কি ডিপ্লোমা ডিগ্রী ?????????)

প্রশ্ন – ১ –
একজন ভেটেরিনারিয়ান কি ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা ???? – গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়, কিসের ভিত্তিতে একজন ডি ভি এম ” ডিগ্রী পাশ রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান – কে ১০’ম গ্রেড প্রদান করত ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে ইতোপূর্বে নিয়োগ দিয়েছেন ? কিভাবে আবারো একই গ্রেডে (১০’ম), ” ২’য় শ্রেণীর ” কর্মকর্তা হিসেবে ভেটেরিনারিয়ান দের কাছ থেকে ”সহকারী পশু চিকিৎসক ” পদে আবেদন পত্র আহবান করেছেন ??
(বিঃ দ্রঃ– ” ডি ভি এম ” ডিগ্রী পাশ রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান গণ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে Professional/Technical ক্যাডার এর আওতাভুক্ত একটি ১’ম শ্রেণীর পদ ।।)
প্রশ্ন- ২
– একজন ” ডি ভি এম ” ডিগ্রী পাশ রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান কে- ” সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন ” নামে একই পদে কখনো ৯’ম গ্রেড প্রদান করত ১’ম শ্রেণীর কর্মকর্তা আবার কখনো ১০’ম গ্রেড প্রদান করত ২’য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয় বৈষম্য মূলক আচরণ দেখিয়ে কিভাবে দুই ক্যাটাগরিতে নিয়োগ প্রদান করেন ?????
উদাহরণঃ
ক) গত ২৯/১১/২০০৫ ইং তারিখ-এ রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান কে- ” সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন ” পদে ( প্রদত্ত গ্রেড-১০’ম ) ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রদান
খ) গত ১৯/১০/২০১০ ইং তারিখ-এ রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান কে- ” সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন ” পদে ( প্রদত্ত গ্রেড-৯’ম ) ১’ম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রদান
গ) গত ১৫/০৪/২০১২ ইং তারিখ-এ রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান কে- ” সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন ” পদে ( প্রদত্ত গ্রেড-৯’ম ) ১’ম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রদান
প্রশ্ন- ৩
-ক) কিসের মাপকাঠিতে জনাব ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান,সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক ,কক্সবাজার – কে গত ২৯/১১/২০০৫ ইং তারিখ হতে ২’য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে ১০’ম গ্রেডে বেতন প্রদান এবং গত ১৯/১০/২০১০ ও ১৫/০৪/২০১২ ইং তারিখ-এ নিয়োগপ্রাপ্ত ভেটেরিনারিয়ান দের (একই পদে )” সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন ” পদে ১’ম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে ৯’ম গ্রেডে বেতন প্রদান করছেন ???
(বিঃ দ্রঃ–উল্লেখ্য যে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল ভেটে রিনারিয়ান গণ একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে অধ্যায়ণ শেষ করে ” ডি ভি এম ” ডিগ্রী অর্জন করত বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশেন লাভ করেন এবং রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে বাংলাদেশে আত্মপ্রকাশ করেন …। )
খ) একই যোগ্যতার অধিকারী হয়ে ও কেন কেউ ১’ম শ্রেণীর আবার কেউ বা ২’য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন ???
প্রশ্ন- ৪ –
গত ১৫/০৪/২০১২ ইং তারিখ-এ ৩ (তিন) জন রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান – কে- ” সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন ” পদে ( প্রদত্ত গ্রেড-৯’ম ) ১’ম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয় ।। ঠিক তাঁর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে গত ০১/০৭/১২ ইং তারিখে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কিভাবে একই পদটি -কে ২’য় শ্রেনীর কর্মকর্তার (গ্রেড-১০’ম) পদমর্যাদা দিয়ে রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান দের কাছ নিকট হতে আবেদন পত্র আহবান করেছেন ?????? কোন নিয়োগ বিধি অনুযায়ী একজন ” ডি ভি এম ” ডিগ্রী পাশ রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান এর জন্য ২’য় শ্রেনীর কর্মকর্তার (গ্রেড-১০’ম) পদমর্যাদা দিয়ে এই পদ সৃষ্টি করা হলো ????????
সকল ভেটেরিনারিয়ানদের প্রতি অনুরোধ, প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত প্রকল্পে চাহিত পদে (২’য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে ) আবেদন (যাদের জন্য প্রযোজ্য ) করা থেকে নিজেকে বিরত রেখে ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে নিজের প্রফেশন কে অবমূল্যায়ন এর হাত থেকে রক্ষা করুন…। আরেকজন ডাঃ মোস্তাফিজ তৈরি হোক এটা একজন ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে চাওয়া আমাদের কাম্য নয়…।
তাই এই বিজ্ঞপ্তি সংশোধক পূর্বক একজন ভেটেরিনারিয়ান কে এন্ট্রি লেভেল- এ ১’ম শ্রেণীর পদমর্যাদা দিয়ে পূনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার জন্য এবং পূর্বে নিয়োগ প্রাপ্ত জনাব ডাঃ মোস্তাফিজ ,সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক ,কক্সবাজার এ কর্মরত কর্মকর্তাকে ২’য় শ্রেণীর স্থলে ১’ম শ্রেণীর পদমর্যাদা পূর্বক জাতীয় বেতন স্কেল- ২০০৯ অনুযায়ী বিধি মোতাবেক ৯’ম গ্রেড প্রদান করে তাঁর সার্ভিস বুক হালনাগাদ করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয় এর মাননীয় মন্ত্রী,সচিব মহোদয় সহ সংশ্লিস্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পুনরায় বিবেচনায় আনার নিমিত্তে আমাদের কে যার যার অবস্থান ,প্রতিষ্ঠান,সংগঠন ইত্যাদি হতে উল্লেখিত বিষয়গুলোর আলোকে ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে স্বীয় পদমর্যাদা রক্ষার স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতীব জরুরী ।।
এরই প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য এ দেশের ভেট পরিবারের সকল সম্মানীত সদস্য ও সংশ্লিস্ট সকল সংগঠনগুলো কে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি ।
Chittagong Veterinary and Animal Sciences University Alumni Association(CVASUAA) —- এ লক্ষে প্রয়োজনীয় কার্যাদি শুরু করেছেন । আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে এ বিষয় সহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে সভা আহবান করে সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করে কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন ।।
তাই সময় এসে গেছে , আসুন আমরা সবাই মিলে এটাকে প্রতিহত করি। এর বিরুদ্ধে কিছু না করলে ভবিষ্যতে এ রকম আরো সমস্যা হবে। জেগে উঠুন , এখন ই সময় ।
সুত্র ঃ লেখাটি পূর্বে Dr. Md Mongur Morshed Chowdhury, Curator, Chittagong Zoo,Chittagong & President, Chittagong Veterinary and Animal Sciences University Alumni Association, Chittagong কর্তৃক ফেইসবুকের প্রাধিকার পেইজে প্রকাশিত।
৪ বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রী + ১ বছরের ইন্টার্ণশীপ (দেশে ও বিদেশে) = ভেটেরিনারি ডিপ্লোমা কোর্স !!!!
এই ব্যাথা কোথায় রাখি? কণ্ঠ যে রোধ হয়ে আসছে!!!
পাগল দিয়ে মন্ত্রনালয় চালালে যা হয় আরকি,তাই হয়েছে, নুন্নতম বুদ্ধি থাকা উচিত ছিল কিভাবে একটা প্রথম শ্রেনী কর্মকর্তাকে দিতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়…।।
Very Pathetic indeed.
“কৃষিবিদ ক্লাস ওয়ান, বঙ্গবন্ধুর অবদান” এই স্লোগানে প্রতিবছর দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কৃষিবিদ দিবস পালন করা হয়। ১৯৭৩ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির পদ-মর্যাদা ঘোষনা করেন। অধুনা এমন কোন সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি যাতে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হতে পারে। কিন্তু পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পরিস্কারভাবে সেই সিদ্ধান্তের পরিপন্থি। এত বড় ধৃষ্টতা কেমন করে হলো তা আমাদের বোধোগম্য হচ্ছে না। এটা কি ধৃষ্টতা না কি অজ্ঞতা তাও আমারা বুঝতে পারছি না। না কি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোন ষড়যন্ত্র ? কেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বা কৃষিবিদ এসোসিয়েশন এখনও নিশ্চুপ ? আর বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশনই বা কি কারণে এখন পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি? যেখানে বাংলাদেশ কর্মকমিশন কর্তৃক ভেটেরিয়ানদের ১ম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয় সেখানে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের এ কোন ধরনের পরিহাস! জাতির জনকের ঘোষনার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখিয়ে অনতিবিলম্বে আমরা এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সংশোধন দাবি করছি।
আমি সেই সব ভেটেরিনারিয়ান দের ভুমিকা দেখতে চাই , যারা ভেটেরিনারির ভবিষ্যত নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলে , আমি একজন ছাত্র , আমার যতটুকু করার আমি সবটূকু দিতে প্রস্তুত ।
Veterinarians should refrain from applying any second class or equivalent position in any government or private organizations. While the veterinary community is vocal against such discriminatory activities by the government bodies or by any private organizations, as a dignified veterinarian Dr. Mustafizur Rahman quit from that second class position. Being a veterinarian no one should take part or be part of any action that destroy the dignity of veterinary community.
যে জাতি গুণীর কদর করতে জানে না, সে দেশে গুণী জন্মাতে পারে না। বোকার স্বর্গে বাস না করলে এমন বিজ্ঞাপন দেয়া সম্ভব না। তার আরেকটি প্রমাণ “সহকারী পশু চিকিৎসক”! এটা যে প্রাণি চিকিৎসক হবে তাও জানে না! নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটির দ্রুত সংশোধন দাবী করছি। সেই সঙ্গে এই পোস্টে ভেটেরিনারিয়ানদের আবেদন করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করছি, যেন ভবিষ্যতে আর কোন এ ধরনের নজীর তৈরি না হয়। আর্টিকেলটির লেখককে ধন্যবাদ, বিষয়টি আমাদের নজরে আনার জন্য।
We should make a strong unity. As we have a well-built recognition that we are “Dr”. No one can devalue our degree.
আমাদের দেশের মন্ত্রনালয়গুলোতে কোন ভাল মানুষ আছে বলে মনে হয়না। এটা যে করেছে সে না বুঝেই করেছে এমনটা মনে হওয়ার কোন কারন নাই। আর এটা বলে এদেরকে যেন ছাড় দেয়া না হয়। তাই বিভিএ, ভেটেরিনারি কাউন্সিল, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর সকলে মিলে এর একটা বিহিত করতে হবে। না হলে আমাদের আত্নসন্মান বলে কিছু আর থাকবে না। কিছুদিন আগে ৩০ তম বিসিএস এ ভেটেরিনারি সার্জন পদে পশুপালন থেকে পাশ করা বেশ কিছু নিয়োগ হয়েছে। আমরা আমাদের সংগঠনগুলো থেকে জোরালো কোন কর্মকান্ড দেখি নাই। নির্বাচনের আগে কেবলমাত্র ভোটের জন্য এই সকল সংগঠনের তৎপরতা চোখে পড়ে। নির্বাচনে জয়ী হয়েই সবকিছু ভুলে যায়। আর যারা হেরে যায় তারা কেবল সেই চেষ্টায় করে যেন বিজয়ীরা কোন ভাল কাজ না করতে পারে। জাতীয় স্বার্থে আমরা যতদিন এক হয়ে কাজ করতে না পারবো ততদিন এই সমস্যা থেকে বের হতে পারবোনা বরং সমস্যা আরও ঘণীভুত হবে। তাই আজ এই সকল হীন কাজের তীব্র নিন্দা জানাই। সরকার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিক। কোন ভেটেরিনারিয়ান যাতে আবেদন না করেন অনুরোধ জানাই। পরিশেষে পাপ্পুকে ধন্যবাদ ।
আমার মনে হয় কোন না কোন এনিমেল কেয়ার টেকার এই ধরনের জঘন্য কাজের সাথে সম্পৃক্ত।
আমরা বাঙ্গালী জাতির এক টু সমস্যা আছে, আমি মনে করি আমাদের ভেটেরিনারীয়ান দের আরো বেশি সমস্যা আছে , ডিভিএম ডিগ্রি নেওয়ার পর আমাদের দায়িত্ব কি কি ?? এটা মনে হয় টাকা নামক ঘোড়ার পিছে পিছে ছুটতে সকল ভেটেরিনারীয়ান রা ভুলে যান, কয়েকজন মনে রাখলেও ওই সব ভুলু আলাদের জন্য আর মনে রাখা যায় না। সুধু কি টাকা আয় করায় আমাদের কাজ ?????? আমি আমার পূবসুরিদের কাছে জানতে চাই , আপনারা আমাদের জন্য কি রেখে যাচ্ছেন ???????? বিশ্বের উন্নত সব দেশে ভেটেরিনারী র অবস্থা আর আমাদের দেশের ভেটেরিনারীর কি অবস্থা এটা আমরা সবাই জানি । এটা কি শুধু সরকারের দোষ ? নাকি আমাদের নিতীনিধারক সিনিয়র দের ও সমস্যা এটা আমার বোধগম্য হয় না। তাই আসুন আমরা আমাদের এই পেশা কে বাচাতে এগিয়ে আসি।
আমি আপনার সাথে একমত ডাঃ কাজী আশরাফ, বাংলাদেশের সব ক্ষেত্রে ” পশুর” স্থলে “প্রানীর “ব্যাবহার করার নিয়ম করা হয় তো অনেক আগে ই। যেমন – সকল “পশু হাসপাতালের ” বতমান নাম ” প্রানী হাসপাতাল”, মন্ত্রনালয়ের নাম ” মতস্য ও প্রানী সম্পদ” ।তাহলে আমার ভাবতে কষ্ট হয় কিভাবে এক মন্ত্রনালয়ের করা নিয়ম অন্য মন্ত্রনালয় গ্রাহ্য করে না। তার মানে এ দেশের সকল মন্ত্রনালয় কি স্বতন্ত্র ?????????????????