মিশরের National Research Center (NRC) জানিয়েছে তারা প্রথমবারের মতো এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন উৎপন্ন করতে যাচ্ছে। আর বার্ড ফ্লু-তে মিশরে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুরগি মারা গিয়েছে।
২০০৬ সালে প্রথম H5N1 টাইপের ভাইরাস সনাক্ত হওয়ার পর থেকে সরকারি হিসেবে অদ্যাবধি ৬০ মিলিয়ন মুরগি নিধন করা হয়েছে এবং দেশে পোল্ট্রি উৎপাদন খরচ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে।
মিশরীয় সরকার তাদের এই জাতীয় সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য অত্যন্ত উচ্চমূল্যে বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আমদানী করত। আর এখন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের প্রতি ১০০ মাত্রার জন্য খরচ পরবে ৩০৫ মিশরীয় পাউন্ড বা প্রায় ৬০ ডলার (৪৮০০ টাকা প্রায়)।
বৈজ্ঞানিকগণ জোর দিয়ে বলেন যে, NRC এর গবেষক দল এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলে তারা প্রমান পেয়েছেন। পক্ষান্তরে আমদানীকৃত ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ছিল মাত্র ২০-২৫ শতাংশ।
Dr. Ashraf Shaalan দাবী করেন, দেশের গবেষকদল যে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে তা মিশরের পোল্ট্রিতে যে ধরনের ভাইরাস আক্রমণ করেছে তার জন্য যথোপোযুক্ত এবং পরবর্তীতে ভাইরাসের জেনেটিক গুণাগুণ পরিবর্তনের সাথে সাথে এই ভ্যাকসিনেরও সে অনুযায়ী আপডেট করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, নতুন এই ভ্যাকসিন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে, যা উক্ত ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। Dr. Shaalan জানান, ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনটির পেটেন্ট করা হয়েছে এবং তা world genetic bank-এ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন Vaccine Veterinary Institute এবং একটি বেসরকারী কোম্পানী Me Vac এই ভ্যাকসিন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সম্প্রতি আমাদের দেশেও এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন আমদানীর অনুমোদন দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে মিশরে আমদানীকৃত ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করে দেখা যেতে পারে। আমদানীকৃত ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা সব দেশেই প্রশ্নবিদ্ধ। তাই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ একটু ধীরে, আরো একটু গভীরভাবে ভেবে।
তথ্য সূত্রঃ ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি নিউজ
আমদানি নয়, আমাদের দেশেও উৎপন্ন করা উচিত।
ঠিকই বলেছেন শিশির, ধার করা জিনিস দিয়ে কত আর ভালো কিছু আশা করা যায়?