ডিম ও মুরগির বাচ্চা দুটোই আমদানি হচ্ছে !!!!!!

ঢাকা, জুন ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রমজানকে সামনে রেখে দেশে আমিষের চাহিদা মেটাতে ডিম ও মুরগির বাচ্চা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।


আগামী রমজানের আগেই আমদানি করা ডিম ও মুরগির বাচ্চা দেশে আসবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস।

আগামী জুলাই মাসের শেষ অর্ধে রমজান শুরু হবে। ওই সময়ে দেশে ডিম ও মুরগির চাহিদা বেড়ে যাবে। গত কিছুদিন ধরেই এই দুটি নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী।

কয়েক মাসে মুরগির মাংসের কেজি ৫০ টাকা বেড়ে এখন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ডিমের হালি ২৫ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৩৯ টাকায়।

গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুরগি ও ডিমের দাম নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয় বলে জানান প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।

“তাকে জানিয়েছি, রমজানে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগেই ডিম ও মুরগি আমদানি করতে হবে। নইলে এ দুটির দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভবপর হবে না,” বলেন তিনি।

মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী ডিম ও মুরগি আমদানিতে সম্মতি দিয়েছেন। এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে।

ডিম ও মুরগির বাচ্চা আমদানির জন্য সম্ভাব্য আমদানিকারক নির্বাচন ও মনোনয়ন দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে জানাবে।

বার্ড ফ্লু আক্রান্ত দেশ থেকে ডিম ও বাচ্চা আমদানি না করারও সিদ্ধান্তও হয়েছে বলে জানান লতিফ বিশ্বাস।

তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ ভারতের পরিবর্তে পাশের থাইল্যান্ডসহ অন্য কয়েকটি দেশ থেকে ডিম ও মুরগির বাচ্চা আনা হতে পারে।”

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ডিম ও মুরগির বাচ্চা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দেশের ব্যবসায়ীদের আপত্তির কারণে দীর্ঘদিন ধরে ডিম ও মুরগির বাচ্চা আমদানি বন্ধ ছিল।

সরকার গত সপ্তাহে ডিম ও মুরগির বাচ্চা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও এখনো কাউকে ডিম ও বাচ্চা আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে কর্মকর্তারা জানান।

ডিম ও মুরগির বাচ্চা আমদানিতে সায় দিতে না চাইলেও চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম বলে স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মঞ্জুর মোর্শেদ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই সিদ্ধান্তে দেশীয় খামার শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

“তবে আমদানি ছাড়া কিছুই করার নেই। কারণ বর্তমান উৎপাদন দেশের চাহিদার তুলনায় অর্ধেক। এ অবস্থায় আমদানির মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে,” বলেন তিনি।

খামারিদের হিসোবে, দেশে বর্তমানে ডিমের দৈনিক চাহিদা প্রায় ২০ কোটি হলেও উৎপাদন ১০ কোটি।

বর্তমানে ডিম ও মুরগির চড়া দাম আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সহনশীল পর্যায়ে আসার ইঙ্গিত দিয়ে মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, “দাম কমে যাওয়ার পর সরকার এগুলো আমদানি চালিয়ে যাবে না বলে আশা করি।”

মুরগি ও ডিমের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় এর আগে ২০১০ সালে ভারত থেকে ১০ কোটি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা আমদানির অনুমতি দেওয়া হয় কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। ওই সময় ভারত থেকে প্রায় একই পরিমাণ ডিমও আমদানি করা হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমকে/আরআরডি/এমআই/১৬৩০ ঘ.

লেখকঃ ডা.ওসমান গনি শিশির

Scientific Officer, Ranikhet Vaccine Section, Livestock Research Institute(LRI), Mohakhali, Dhaka. Former Veterinary Surgeon,Upazila livestock Office, Thakurgaon Sadar, Thakurgaon. Former Senior Scientific Officer, livestock Division, Bangladesh Agricultural Research Council (BARC), Farmgate, Dhaka. Former Scientific Officer, Poultry Disease Diagnostic Laboratory, BLRI, Savar, Dhaka. Former Scientific Officer, (Sheep Health) , Goat & Sheep Production Research Division, BLRI, Savar, Dhaka. DVM, 2003 (BAU); MS in Microbiology 2007 (BAU). Cell: 01716-022840 Email: shishir.micro@yahoo.com; www.drosmanshishir.wordpress.com

এটাও দেখতে পারেন

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনলাইন গবাদি পশু শনাক্তকরণ এবং নিবন্ধন ব্যবস্থা চালুঃ জানা যাবে স্বাস্থ্য ও রোগের ইতিহাস

প্রাথমিকভাবে ৫০,০০০ পশু নিবন্ধিত হবে যা গ্রাহকদের পশুগুলোর স্বাস্থ্য ইতিহাস দেখার সুযোগ দিবে। প্রথমবারের মতো, …

২ মন্তব্য

  1. কী অদ্ভুদ দেশ! নিজ দেশের পোল্ট্রি শিল্পকে অযত্ন অবহেলায় (পরিকল্পিতভাবে) ধ্বংস করে, শত শত ভেটেরিনারিয়ানকে বেকার করে, লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র খামারিকে পথে বসিয়ে এ কোন নীতিতে চলেছ দেশ। এথন বাইরে থেকে ডিম ও মুরগির বাচ্চা আনা মানে দেশের অবশিষ্ট পোল্ট্রি শিল্পকে সমূলে ধ্বংস করা। বাংলাদেশ কি কোন স্বাধীন স্বারভভৌম দেশ না ১৬ কোটি মানুষের বাজার?

  2. Self dependent is the best reliable way than dependent on other.Bangladesh government should understand about this. All ready 50% poultry farms became destroy. From 50% i think 15% destroy due to effect of Avian influenza another 35% destroy due to afraid of bird flu policy.So be care -Other wise every time need to be input. So not input-This input able money should invest on the development of poultry industry.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.