যদিও খবরটি বাসি হয়ে গেছে, তবুও যারা জানেন না তাদের জন্য খবরটি দিচ্ছি- অ্যানথ্রাক্স রোগ নিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বিশেষজ্ঞ দল। এলাকা পরিদর্শনের মাধ্যমে সংগৃহীত নমূণা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এক গবেষণা প্রতিবেদনে তারা বলেছেন, সিরাজগঞ্জের মাটি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, প্রতি গ্রাম মাটিতে রয়েছে প্রায় সাত লক্ষ সত্তর হাজার অ্যানথ্রাক্স রোগের জীবাণু এবং প্রতিটি জীবাণুই অ্যানথ্রাক্স রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম। নিম্নমানের টিকার ব্যবহার, টিকার অপ্রতুলতা, অজ্ঞতা, দারিদ্রতা এবং মাঠ পর্যায়ে খামারীদের মাঝে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে গণসচেতনতা তৈরিতে প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবই পুনরায় দেশে অ্যানথ্রাক্স রোগ বিস্তারের প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল। সিরাজগঞ্জের অ্যানথ্রাক্স কবলিত উপজেলা পরিদর্শন করে জীবাণু নিশ্চিত নির্ণয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গতকাল শনিবার পরীক্ষার রিপোর্ট পেশকালে এসব কথা বলেন প্রতিনিধি দলের প্রধান ড. কে. এইচ. এম. নাজমুল হুসাইন নাজির।
তিনি বলেন, ‘আমরা নওকৈড় গ্রামের অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত ৩৩ জন রোগীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং অ্যানথ্রাক্স জীবাণু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও নিশ্চিত নির্ণয়ের জন্য মৃত পশু, পরিবেশ বিশেষত মাটি ও আক্রান্ত মানুষ থেকে প্রায় অর্ধশত নমুনা সংগ্রহ করেছি। পরে আমরা গবেষণাগারে এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি।’
গবেষণা প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সিরাজগঞ্জের মাটি পরীক্ষা করে আমরা দেখতে পেয়েছি, সেখানকার প্রতি গ্রাম মাটিতে রয়েছে প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার অ্যানথ্রাক্স রোগের জীবাণু। প্রতিটি জীবাণুই অ্যানথ্রাক্স রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম।’
তিনি বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে দেশে বর্তমান প্রচলিত অ্যানথ্রাক্সের টিকা তৈরি করা হয়েছে। এরপর আর টিকার গুণগত মানের যেমন উন্নয়ন হয়নি, তেমনি টিকার বিশুদ্ধতাও পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। এতে করে দিনের পর দিন টিকাগুলোর প্রতিষেধক ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ফলে আক্রান্ত গবাদি পশুকে টিকা দেওয়ার পরেও অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়।’
বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রতি বছর দেশে প্রচুর পরিমাণ অ্যানথ্রাক্স টিকার প্রয়োজন। কিন্তু সরকারি সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান এ টিকার চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। সরকার গবাদি পশুর অ্যানথ্রাক্স নিরাময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত মানুষের রোগ নিরাময়ে অর্থ ব্যয় করছে।
বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে ব্যাপক গণসচেতনতা তৈরি করতে লোকবল বাড়াতে হবে। দ্রুত এ রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া না হলে দেশের প্রাণিসম্পদ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।’
মানুষের ক্ষেত্রে এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর করণীয় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য সহকারী অধ্যাপক জায়েদুল হাসান বলেন, ‘এ রোগে আক্রান্ত এলাকার মানুষকে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। এক্ষেত্রে সিপ্রোফ্লোক্সাসিন ট্যাবলেট (১০ মিলি গ্রাম) ১২ ঘণ্টা পর পর টানা ৭ দিন পরামর্শকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।’
তথ্য সূত্রঃ দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক আমার দেশ, বাংলা নিউজ ২৪, বিডি ক্যাম্পাস নিউজ
Dear Author,
I think,its a wrong information. I was present at defense,Dept. of Microbiology, December,2012. A student named Murshed worked about this topics. He proved that the information was wrong and indicate the actual amount. Please I think you have to remove/reset this topics from this website. According to Right of information, we have to know the right information.
Md. Didarul Ahasan
Research Associate
BLRI.
“সিরাজগঞ্জের অ্যানথ্রাক্স কবলিত উপজেলা পরিদর্শন করে জীবাণু নিশ্চিত নির্ণয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গতকাল শনিবার পরীক্ষার রিপোর্ট পেশকালে এসব কথা বলেন প্রতিনিধি দলের প্রধান ড. কে. এইচ. এম. নাজমুল হুসাইন নাজির।”- গণমাধ্যমকে উনিই এসব তথ্য দিয়েছিলেন। আপনি যদি সঠিক তথ্যটি জানেন তবে আমাদেরকে তা সরবরাহ করলে বিষয়টি আপডেট করে দেবার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ।