বিস্ময়কর ঘটনা: বিলিভ ইট অর নট

পেশাগত ঝুঁকিঃ


চীনের তাইওয়ানের কায়োহসিয়াং অঞ্চলের শাওশান চিড়িয়াখানায় নোনা পানির একটি কুমিরের (প্রায় ২০০ কেজি) কামড়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভেটেরিনারিয়ান চ্যাংপো ইয়োঞ্চর ডান হাত কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।

ঘটনাটি ঘটে ১৯ এপ্রিল, ২০১০ এ। চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারিয়ান কুমিরটিকে আ্যানেসথেশিয়া দেয়ার পর শরীর থেকে ডার্ট খুলতে গিয়ে ঘটে এবিপত্তি। কুমিরটির কাছে যাওয়ামাত্রই তাঁর হাত কামড়ে কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। সাথে সাথে চিড়িয়াখানা পুলিশ কুমিরটির ঘাড়ে দুটি বুলেট ছুড়ে। ফলে কুমিরের মুখ থেকে বিচ্ছিন্ন হাতটি মাটিতে পড়ে যায়।

আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি আর ঘটনাটি করুণ হলেও এর একটি সফল পরিসমাপ্তি ঘটে-

প্রথমত: গুলি লাগার পরেও কুমিরটি অক্ষত থেকে যায়, কারন বুলেট চামড়া ভেদ করে শরীরে প্রবেশ করেনি!
দ্বিতীয়ত: একদল দক্ষ শল্যচিকিৎসক ৭ ঘন্টা সার্জারী করে বিচ্ছিন্ন হাতটিকে সফলভাবে জোড়া লাগায়!

এরপর আরো ৭ টি মেজর সার্জারী এবং অসংখ্য মাইক্রো সার্জারী করা হয়। চ্যাংপো ইয়ো এখনো পর্যন্ত হাতে অনুভূতি না পেলেও ধীরে ধীরে সুস্থ্য হবে বলে আশা করেন তাঁর চিকিৎসক।

খাবার বটে!
কিছু কিছু সাপ না খেয়ে পুরো দুই বছর নিশ্চিন্তে পার করে দিতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিঞ্চানীরা। এই সময়ের মধ্যে ঐ সাপগুলি নিজেদের হৃৎপিন্ডের পুরোটাই সাবাড় করে ফেলে! দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই, ঐ সময়ে ধীরে ধীরে জন্ম নেয় আরও একটি নতুন হৃৎপিন্ড!

প্রাণঘাতী মাথা?
ভাবছেন এটা আবার কি? তাহলে শুনুন, ওয়াশিংটন ডিসিঞ্চর প্রোসার এলাকায় সাপের খন্ডিত মাথার ছোবলে এক ব্যক্তির প্রাণনাশের আশংকা দেখা দিয়েছিল। ড্যানি এন্ডারসন নামে এক ব্যক্তি ৫ ফুট লম্বা একটি র‌্যাটল স্ন্যাক (এক ধরণের বিষাক্ত সাপ)-কে আঘাত করে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। কিন্তু যেইমাত্র তিনি বিচ্ছিন্ন মাথাটিকে মাটি থেকে তুলতে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই সাপটি তার আঙ্গুলে কামড় দেয়। হাসপাতালে পৌঁছতে পৌঁছতেই বিষক্রিয়ার ফলে তার জিহবা ফুলে গিয়েছিল এবং সারা শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়ছিল। দুই দিন হাসপাতালে কাটানোর পর বেচারা বাড়ি ফেরেন। বিশেষঞ্চদের ধারনা রিফ্লেক্স একশনের ফলে সাপটি কামড় দিয়েছিল।

বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, সাপের মাথা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ১ ঘন্টা পরও সে প্রাণঘাতী কামড় দিতে পারে।

সূত্র: রিপ্লি’স বিলিভ ইট অর নট

লেখকঃ ডা. মইন

তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ হতে ডিভিএম এবং ফার্মাকোলজিতে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সায়েন্টিফিক অফিসার হিসেবে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট-এ কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-এর প্রধান কার্যালয়ে সিনিয়র অফিসার পদে বাজেট এন্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট-এ কাজ করেছেন। তাছাড়া তিনি সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট (৩০ তম বি.সি.এস-আনসার), মানিকগঞ্জ-এ কাজ করেছেন। বর্তমানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জামালপুর সদর হিসেবে কাজ করেছেন।

এটাও দেখতে পারেন

বাদুড়ের হাসপাতাল

অনেক গরীব দেশে মানুষের জন্যই পর্যাপ্ত হাসপাতাল কিংবা চিকিত্সার সুযোগ নেই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার টোলগাতে স্থাপন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.