পাবনায় এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত সহস্রাধিক মুরগি নিধন

পাবনা সদর উপজেলায় একটি খামারে বার্ড-ফ্লু আক্রান্ত ১ হাজার ১৬৩টি লেয়ার মুরগি ও ৭ হাজার ৮৫৩টি ডিম ধ্বংস করা হয়েছে। শুক্রবার জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদোগে সদর উপজেলার ঘোষপুর গ্রামের ভাই ভাই পোলট্রি কমপ্লেক্স নামের খামারের এসব মুরগি ও ডিম ধ্বংস করে পুঁতে রাখা হয়। খামারের মালিক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস জানান, বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিদিন খামারের ৫০-৬০টি লেয়ার মুরগি মারা যাচ্ছিল। বিষয়টি সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি মৃত মুরগি বুধবার সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক রোগ গবেষণা কেন্দ্রে পাঠান। সেখানে পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা হয় যে বার্ড-ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মুরগি মারা গেছে। এ কারণে শুক্রবার বিকালে খামারের মুরগি ও ডিম ধ্বংস করে মাটির নিচে পুঁতে ফেলা হয়েছে। পাবনা সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী আশরাফুল ইসলাম মিডিয়াকে জানান, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড-ফ্লু নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আক্রান্ত খামারের এক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাখি জাতীয় প্রাণি অথবা ডিম লেন-দেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি আরো জানান, পাবনা জেলায় রেজিস্ট্রেশনকৃত এবং রেজিস্ট্রেশনবিহীন প্রায় ৪০০ পোলট্রি ফার্ম রয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখছেন কোনো খামারে এভাবে মুরগি আক্রান্ত হচ্ছে কি না। ক্ষতিগ্রস্ত ভাই ভাই পোলট্রি কমপ্লেক্সের মালিক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস বলেন, বার্ড-ফ্লু আক্রান্ত হওয়ায় তার প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান, প্রতিটি লেয়ার মুরগির জন্য ডিম দেয়া পর্যন্ত বয়সে পৌঁছাতে প্রায় ৫৮০ টাকা করে ব্যয় হয়েছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি মুরগির জন্য মাত্র ১৫০ টাকা এবং প্রতিটি ডিমের দাম ৫ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। এটা খুবই নগণ্য। তিনি ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।


চিত্রঃ এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত মুরগি মারা হচ্ছে

এটি আমার প্রথম স্ট্যাম্পিং আউট করা। এর আগে আমার এ ধরনের কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। তবে কাজগুলোর সমন্বয় সাধন করা বেশ ঝামেলার। জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সিভিল সার্জন এরকম সব  বড় বড় কর্মকর্তাদের একত্রিত করা, তাদের সাথে বৈঠক করা, বিশাল এক গর্ত করা, জীবন্ত মুরগি একটা একটা করে মারা, সেগুলোর সৎকার করা ইত্যাদি অনেক কাজ। এখন চলছে মনিটরিং। আমার এখন “মাথার ঘায়ে কুত্তা  পাগল অবস্থা” !!

 

লেখকঃ ডাঃ তায়ফুর রহমান

ডাঃ তায়ফুর রহমান; ডিভিএম, এম এস, এমপিএইচ ; ন্যাশনাল টেকনিক্যাল এডভাইজার-এপিডেমিওলজি, জাতিসঙ্ঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা, ঢাকা; ব্লগ এডমিনিষ্ট্রেটর, ভেটসবিডি

এটাও দেখতে পারেন

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনলাইন গবাদি পশু শনাক্তকরণ এবং নিবন্ধন ব্যবস্থা চালুঃ জানা যাবে স্বাস্থ্য ও রোগের ইতিহাস

প্রাথমিকভাবে ৫০,০০০ পশু নিবন্ধিত হবে যা গ্রাহকদের পশুগুলোর স্বাস্থ্য ইতিহাস দেখার সুযোগ দিবে। প্রথমবারের মতো, …

২ মন্তব্য

  1. taifur you should think twice before adding such type of news in e-media ”mentioning your leadership”.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.