বহু বছর ধরে জিংক একটি অতি প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। খাদ্য গ্রহণের রুচী বজায় রাখা, প্রজনন স্বাস্থ্য, ত্বক, হাড়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কাজ ছাড়াও দু’শরও বেশি এনজাইমের কাজে কো-ফ্যাকটর হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
এবারে আসুন দেখি জিংক কিভাবে শোষিত হয়ঃ
- এটা শোষিত হয় ক্ষুদ্রান্তে।
- “Journal of Nutrition” অনুযায়ী সাইট্রিক এসিড zinc-binding ligand হিসেবে কাজ করে জিংক এর শোষন বাড়িয়ে দেয়।
এবারে চলুন দেখি এর কাজ কিঃ
১। বিপাকীয় কাজঃ
- ২০০ এরও বেশি এনজাইমের কাজ করতে জিংক অংশ গ্রহণ করে। এছাড়াও দেহের আরও অনেক বিপাকীয় কাজে জিংক অংশ নেয়।
- শর্করা ভাঙনে ভূমিকা রয়েছে, এছাড়া দেহ কোষের বৃদ্ধি, জনন এসবেও সহযোগীতা করে।
২। রোগ-প্রতিরোধেঃ
- জিংক এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট-প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয়া
- রোগ-জীবাণু প্রতিরোধে জিংক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে জিংক এর অভাব রয়েছে এমন প্রাণি সহজে জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়।
৩। রুচি বাড়াতেঃ
- লালা গ্রন্থির জিংক নির্ভর পলিপেটাইড, গাসটিন এর মাধ্যমেই স্বাদের অনুভূতি পাওয়া যায়।
- কাজেই যদি জিংক এর অভাব থাকে তবে স্বাদ বোঝার ক্ষমতা কমে যায় অর্থাৎ রুচি কমে যায়।
৪। বংশবৃদ্ধিঃ
- পূর্ণ যৌন পরিপক্কতা এবং বংশবৃদ্ধির সক্ষমতা অর্জনের জন্য জিংক অত্যাবশ্যক।
- জিংক এর অভাবে পোল্ট্রীতে ডিমের হ্যাচাবিলিটি কমে যায়।
- জিংক ডিএনএ ও আরএনএ পলিমারেজ এনজাইমের একটি আবশ্যক উপাদান ।
- কিছু হরমোন যেমন: গ্লুকাগন, ইনসুলিন, গ্রোথ হরমোন এবং সেক্স হরমোন এর কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৫। চর্ম ও হাঁড়ের বৃদ্ধিঃ
- জিংক এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা পোল্ট্রীর দৈহিক বৃদ্ধি, হাঁড়ের বৃদ্ধি, পালক বিন্যাস, এনজাইমের গঠন ও তার কাজ এবং রুচি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ভ্রুণের বৃদ্ধিকালিন সময়ে কঙ্কাল-এর বৃদ্ধির জন্য
- কেরাটিন তৈরি ও তার পরিপক্কতা, ক্ষত সারানো, আবরনি কোষের রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি কাজের দ্বারা জিংক ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে।
৬। তাপ জনিত ধকল প্রতিরেধে
- তাপ জনিত ধকলে প্রাণির উৎপাদনশীলতা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। দেখা গেছে যদি খাদ্য তালিকায জিংক এর সরবরাহ থাকে তবে তা এই ধকল প্রতিরোধে সাহায্য করে।
# অভাব জনিত লক্ষণঃ
- বীর্যের গুণগত মান খারাপ হওয়া।
- ছোট বাচ্চা খর্বকায় হওয়া, পায়ের হাড় খাটো ও মোটা হওয়া, hock joint এর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, ত্বক মোটা হওয়া বিশেষত পায়ের চামড়া, দূর্বল পালক বিন্যাস, পুষ্টি উপাদানের ব্যবহার হ্রাস পাওয়া, রুচি কমে যাওয়া এবং তীব্র অভাবে মৃত্যু পর্য়ন্ত হতে পারে।
- ডিম পাড়া মুরগিতে উৎপাদন কমে যাওয়া।
- অস্বাভাবিক অস্থি গঠন যুক্ত বাচ্চা হওয়া।
পোস্টটি কেমন লাগল তা মন্তব্য করে জানান।
এরকম পোস্ট আরো চাই।
Onek sundor !!! Asha kori onnanno Minerals niea chain post hobe.
চেষ্টা করবো ভাই, আপনিও লিখার চেষ্টা করুন, ভেটসবিডি আপনার সহযোগীতায় আছে। ধন্যবাদ।
স্যার আসসালামু আলাইকুম। আমার কয়েক পেশার বাজরিগসর আছে। আমি আপনার কাছে ছোট একটা গাইডলাইন চাই । তাহলে এই ঔষধগুলো একটু আমাকে বলবেন তাও আবার বাজারের ভালো মেডিসিন সেটা ১। পাখির পালক সুন্দর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে কোন মেডিসিন ? ২। পাখির রুচি বৃদ্ধির ঔষধ? ৩। পাখির সবুজ পায়খান ও পাতলা পায়খানার ঔষধ? ৪। পাখির ঠান্ডার ঔষধ? ৫। বিডিং মুডে আসার ও ডিম উৎপাদন? ৬,। ডিম থেকে বেশী বাচ্চা ফুটার ঔষধ কি? আর সবশেষে ৭। মাইটস এর ঔষধ? আপনি দয়া করে যে ঔষধ গুলো কাযকারিতা ভালো হবে ও ভালো কোম্পানির ঔষধ দিবেন প্লি।। আল্লাহ্ আপনাকে হেফাজত করুক। আমিন।
onek upokari post
ধন্যবাদ ভাই, প্রশংসা পেলে লেখার আগ্রহ বেড়ে যায়।
স্যার আমার হাঁসের খাবার করে কমিয়ে দিয়েছে।।
ভালোলাগছে
অসাধারণএকটি পোস্ট!
খুবই সুন্দর তথ্যবহুল পোস্ট।
অনেক অনেক ধন্যবাদ,ও শুভকামনা ভাইয়া,