আজ সন্ধ্যায় ময়মনসিংহস্থ কেওয়াটখালীতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বহিরাগতরা। বিগত কয়েকদিন ধরেই বাকৃবির আবাসিক ছাত্র আর বহিরাগতদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত থেকে জানা যায়, নিয়মিত সময়সূচী অনুযায়ী আজ সন্ধ্যা ৬:২০ মিনিটে ময়মনসিংহ শহরের তাজমহল এলাকা থেকে বাসটি বাকৃবি ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে এসে কেওয়াটখালীস্থ রেলওয়ে ওভারব্রিজের নিকট এসে পৌছলে বহিরাগতরা বাসটির গতি রোধ করে। এরপর তারা বাসের সকল যাত্রীকে নেমে যেতে বলে। যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর দুর্বৃত্তরা পেট্রল ঢেলে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই আর্টিকেলটি লেখার সময় পর্যন্ত হতাহতের কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে ভীত হয়ে কিছু ছাত্র-ছাত্রী এদিক-সেদিক ছুটাঝুটির সময় সামান্য আহত হয়ে থাকতে পারে।
এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাত সোয়া আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যকার ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইন অবরোধ করে এবং রেলের স্লিপার উপড়ে ফেলেছে বলে জানা গেছে। ওইসময় ঢাকা থেকে আগত একটি ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল অতিক্রম করার পর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আটকা পড়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কামাল-রঞ্জিত(কে.আর) মার্কেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিার্থীর সাথে পার্শ্ববর্তী কেওয়াটখালী এলাকার কয়েক যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এলাকাবাসীর একটি মটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। পরে ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের শেষবর্ষের ছাত্র নাশিত কামাল কিরণ ও কৃষি অনুষদের একই বর্ষের রাফিউল হাসান রনিনকে একবছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হয় এবং এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। এরপর বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী দ্রুত ওই বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দেয়। সময় শেষ হলেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এলাকাবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসটি পুড়িয়ে দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে বিশ্লেষণে মনে করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টর এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সভায় মিলিত হয়। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং ছাত্রী হলগুলোতে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ।
কি হচ্ছে এসব!
তুচ্ছ ঘটনা (শুনেছি ফাও খাওয়া নিয়ে) কতদূর গড়াচ্ছে! মনে হচ্ছে Power Practice চলছে!