পোলট্রিশিল্পকে ২০২৫ সাল নাগাদ কর অবকাশের সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এই শিল্পের উদ্যোক্তারা। তাঁরা মনে করেন, দীর্ঘসময়ের জন্য কর অবকাশ-সুবিধা দিলে লোকসানের মুখে পড়ে যাঁরা পোলট্রি বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁরা ফিরে আসবেন; আবার যাঁরা এখনো টিকে আছেন তাঁরা পুনর্বিনিয়োগ করবেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত প্রাক্-বাজেট আলোচনায় গতকাল রোববার পোলট্রিশিল্পের উদ্যোক্তারা এই দাবি জানান। গতকাল থেকে এই প্রাক্-বাজেট আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে কৃষি ও মোটরগাড়ি (অটোমোবাইল) খাত নিয়ে আলোচনা হয়।
এনবিআর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রাক্-বাজেট আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সদস্য (মূসক প্রশাসন) ফরিদ উদ্দিন। এ ছাড়া অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া কৃষি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তারা এতে অংশ নেন।
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্র্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এম খান বলেন, পোলট্রিশিল্পের খাদ্য আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা উচিত। পোলট্রিশিল্পের বর্জ্য দিয়ে বায়োগ্যাস উৎপাদন করা যেতে পারে। আর বায়োগ্যাস উৎপাদনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করা দরকার।
এম এ খান জানান, পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। তাই হাঁস-মুরগির খামারে তাপমাত্রা সহনীয় করতে আরও আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। তাই এসব আধুনিক যন্ত্রপাতি শুল্কমুক্ত যন্ত্রপাতির তালিকায় সংযুক্ত করার দাবি জানান তিনি।
সূত্র: প্রথম আলো; তরিখ: ০২.০৪.১২